সেমিফাইনালে ওঠার পর জোকোভিচের গর্জন। আজ মেলবোর্নে
সেমিফাইনালে ওঠার পর জোকোভিচের গর্জন। আজ মেলবোর্নে

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

আগাসিকে ছুঁয়ে সেমিফাইনালে জোকোভিচ

তখনো কোয়ার্টার ফাইনালে নোভাক জোকোভিচ-আন্দ্রে রুবলেভের প্রথম সেট চলছিল। এ ম্যাচে জয়ী সেমিফাইনালে যাঁর মুখোমুখি হবেন, সেই টমি পল তখন সংবাদ সম্মেলনে। শেষ চারের লড়াইয়ে ‘কে প্রতিপক্ষ হলে ভালো হয়’ প্রশ্নে মার্কিন টেনিস তারকা বলেন, ‘রুবলেভ হলে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে নোভাক হলেও দারুণ হয়।’

শুক্রবার রড লেভার অ্যারেনায় জোকোভিচের মুখোমুখি হবেন অবাছাই পল। পঞ্চম বাছাই রুবলেভ কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। এক বছর বিরতির পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফেরা সার্বিয়ান টেনিস তারকা কোয়ার্টার জিতেছেন সরাসরি ৬-১, ৬-২, ৬-৪ সেটে। মেলবোর্ন পার্কে এটি তাঁর টানা ২৬তম জয়। টেনিসের উন্মুক্ত যুগে কোনো গ্র্যান্ড স্লামে টানা ২৬ জয়ের অন্য কীর্তিটি আন্দ্রে আগাসির।

টানা জয়ে কিংবদন্তি আগাসিকে ছুঁয়ে জোকোভিচ এখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে দশম আর ক্যারিয়ারের ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের অপেক্ষায়। সেই অপেক্ষা ঘোচাতে আর মাত্র দুটি ধাপ বাকি।

রুবেলেভকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পর জোকোভিচ জানালেন, ‘প্রতিপক্ষদের জন্য বার্তা’ পাঠিয়েছেন তিনি। ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা টুর্নামেন্টের প্রথম দিকের ম্যাচগুলোয় শারীরিকভাবে ভুগছিলেন। তবে চতুর্থ রাউন্ডে অ্যালেক্স ডি মিনাউরের পর এবার রুবলেভকে হারালেন দাপটের সঙ্গে।

ভক্তদের আবদার মেটাচ্ছেন জোকোভিচ।

শারীরিকভাবে শতভাগ ফিট না থাকলেও এমন দাপুটে খেলা নিয়ে জোকোভিচ বলেন, ‘গত দুই ম্যাচে দুজন ছন্দে থাকা খেলোয়াড়ের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে তিন সেটেই জিতলাম। আমি এই মুহূর্তই চাইছিলাম। এর মাধ্যমে আমি আমার প্রতিপক্ষদের প্রতি বার্তাও পাঠালাম।’

এ ধরনের খেলা নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে জানিয়ে সার্বিয়া তারকা বলেন, সেমিফাইনালের বাধা পার হয়ে ফাইনালেও খেলতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী, ‘ক্যারিয়ারে অনেকবারই এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েছি। আমি কখনো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে হারিনি। আশা করি, এবারও তেমনটিই ঘটবে।’

হাত নেড়ে সমর্থকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন জোকোভিচ

শুক্রবার গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারের ৪৪তম সেমিফাইনাল খেলবেন জোকোভিচ, যা তাঁকে ৪৬টি সেমিফাইনাল খেলা রজার ফেদেরারের খুব কাছে নিয়ে যাবে। সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ পলের সঙ্গে এটি তাঁর প্রথম মুখোমুখি লড়াই।