এলিনা সভিতোলিনা টেনিস জগতের পরিচিত নাম। ইউক্রেনের এই টেনিস তারকা একপর্যায়ে মেয়েদের র্যাঙ্কিংয়ের ৩ নম্বরেও উঠে এসেছিলেন। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জপদক জেতার পাশাপাশি খেলেছেন তিনটি গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে।
বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়ের ২৩ নম্বরে আছেন ৩০ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা। তবে টেনিস ভুবনের পরিচিত এই মুখকে এবার দেখা গেল ভিন্ন এক ভূমিকায়। টেনিসের বিরতিতে নিজ দেশ ইউক্রেনে ফিরে র্যাকেটের পরিবর্তে হাতে তুলে নিয়েছেন রকেট লঞ্চার।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে বিভিন্ন সময় এর বিপক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে সভিতোলিনাকে। নিজের অবস্থান ও টেনিসের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টাও করে যাচ্ছেন ইউক্রেনের অন্যতম সেরা এই ক্রীড়াবিদ। সেই সভিতোলিনাকে এবার ইউক্রেনের খারকিভ এলাকায় দেখা গেল রকেট লঞ্চার হাতে।
ইনস্টাগ্রামে রকেট লঞ্চার হাতে নিজের ছবি পোস্ট করে সভিতোলিনা লিখেছেন, ‘আমার মনে খারকিভের জন্য বিশেষ জায়গা আছে। ১২ বছর বয়সে আমি যখন পেশাদার ক্যারিয়ারের পথচলা শুরু করি, তখন এই শহর আমাকে নিজের ঘরের অনুভূতি দিয়েছিল।
যুদ্ধ চলাকালে এই শহর সবাইকে সতেজ রাখার এবং রক্ষার কাজ করে চলেছে। যদি আপনারা আমাকে জিজ্ঞেস করেন, খেলার জগতে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পাই? সেটা আমি পাই নিজের দেশ, নিজের মানুষ, আমার খারকিভ এবং আমাদের নায়কদের কাছ থেকে।’
জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড জানিয়েছে, সভিতোলিনা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দেশকে সহায়তার জন্য অবকাশকাল ইউক্রেনে কাটান। বর্তমানেও ইউক্রেনে আছেন তিনি, তবে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রস্তুতি নিতে শিগগিরই দেশ ছেড়ে যাবেন।
ইউক্রেনিয়ান শহর ওদেসায় মাত্র ৫ বছর বয়সে টেনিস র্যাকেট হাতে শুরু হয় সভিতোলিনার পথচলা। সেখানে তিনি থাকতেন তাঁর মা–বাবার সঙ্গে থাকতেন। পরে মায়ের বোলিং ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে খারকিভ চলে আসেন তাঁরা। এর পর থেকেই মূলত ধীরে ধীরে টেনিস জগতে উত্থান হয় তাঁর।