গ্র্যান্ড স্লামে তাঁর সর্বোচ্চ সাফল্য ফাইনালে খেলা। গত বছর উইম্বলডন ও ইউএস ওপেনের ফাইনাল খেলেছেন। আর নিজের আঙিনার টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সর্বোচ্চ সাফল্য গত বছর দ্বৈতের শিরোপা জয়। এককে এই টুর্নামেন্টে তাঁর সেরা সাফল্য ২০১৫ সালের ফাইনালে ওঠা।
তেমন সাফল্য না পেলেও একটি বদনাম ঠিকই জুটিয়েছেন নিক কিরিওস। অস্ট্রেলিয়ার এই খেলোয়াড়কে টেনিস–বিশ্ব চেনে খেলাটির ‘ব্যাডবয়’ হিসেবে। কারও সমালোচনা করতে দুইবার ভাবেন না কিরিওস। কাউকে উদ্দেশ করে কটূ কথা বলতেও যেন মুখে বাধে না তাঁর। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কাণ্ডকীর্তি তো আছেই।
বিতর্কের সঙ্গে বসবাস করা কিরিওস এবার সাফল্য দিয়ে আলোচনায় আসার পণ করেছিলেন। জিততে চেয়েছিলেন ঘরের কোর্টের গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। নোভাক জোকোভিচ-রাফায়েল নাদালকে পেছনে ফেলে সেটা তিনি করতে পারতেন কি না, তা পরে বোঝা যেত। কিন্তু চোট তাঁকে কোর্টেই নামতে দিল না।
এবারের অস্ট্রেলিয়া ওপেনে একটি শটও না খেলেই ছিটকে গেছেন কিরিওস। টুর্নামেন্টের আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল, কিরিওসের অ্যাঙ্কেলে সমস্যা আছে। কিন্তু তিনি ছিটকে গেছেন হাঁটুর চোট নিয়ে। আজ থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে খেলতে না পেরে হতাশ ২৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান তারকা।
তড়িঘড়ি করে মেলবোর্ন পার্কে আয়োজন করা এক সংবাদ সম্মেলনে আজ তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবেই আমি বিধ্বস্ত।’এবারের অস্ট্রেলিয়া ওপেন ঘিরে যে বড় স্বপ্ন দেখছিলেন, বললেন সেটাও, ‘এখানে আমার ভালো কিছু টুর্নামেন্ট কেটেছে। গত বছর দ্বৈতের শিরোপা জিতেছি। এ মুহূর্তে সম্ভবত আমি ক্যারিয়ারের সেরা টেনিসটা খেলছি।’
হতাশ হলেও বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন কিরিওস, ‘এটা খুব নিষ্ঠুর ব্যাপার। এ বছর আমার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট এটা...বাজে টাইমিং ছাড়া আর কী বলব! কিন্তু এটাই জীবন। চোট খেলারই অংশ।’
কিরিওসের চোট কতটা গুরুতর, সেটা জানিয়েছেন তাঁর ফিজিও মাহের। স্ক্যানে ধরা পড়েছে মেনিসকাসে হালকা চিড় আছে। এটা চোট অবশ্য কিরিওসের ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি নয় বলেও জানিয়েছেন মাহের।