চেক প্রজাতন্ত্রের টেনিসকন্যা মারকেতা ভন্দ্রুসোভা
চেক প্রজাতন্ত্রের টেনিসকন্যা মারকেতা ভন্দ্রুসোভা

সভিতোলিনা নন, ‘প্রথম’ হলেন ভন্দ্রুসোভা

৬০ বছরের মধ্যে ‘প্রথম’ হওয়ার সুযোগ ছিল দুজনেরই। কিন্তু ম্যাচটি যেহেতু টেনিসের, তাই দুজন তো আর ‘প্রথম’ হতে পারেন না। আজ উইম্বলডনে মেয়েদের এককের সেমিফাইনালে এলিনা সভিতোলিনাকে হারিয়ে সেই প্রথমের সম্মান পেলেন মারকেতা ভন্দ্রুসোভা। ৬-৩, ৬-৩ গেমে জিতে ৬০ বছরের মধ্যে প্রথম অবাছাই নারী খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ভন্দ্রুসোভা।

ভন্দ্রুসোভার আগে শেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন টেনিস কিংবদন্তি বিলি জিন কিং। ১৯৬৩ সালে ফাইনালে উঠেও অবশ্য ভেনাস রোজওয়াটার ডিশটা হাতে নিতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের বিলি জিন কিং। আরেক কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ার মার্গারেট কোর্টের কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় অবশ্য মার্গারেট স্মিথ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন কোর্ট।

র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের ৪৩ নম্বর খেলোয়াড় ভন্দ্রুসোভা ফাইনালে খেলবেন আরিনা সাবালেঙ্কা অথবা উনস জাবিরের বিপক্ষে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় সাবালেঙ্কা-জাবিরের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল চলছিল।

হারের পর কোর্ট ছেড়ে যাচ্ছেন এলিনা সভিতোলিনা

৬০ বছরের মধ্যে প্রথম অবাছাই নারী খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে উঠলেও ২৪ বছর বয়সী ভন্দ্রুসোভা এবারই প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনাল খেলবেন না। চার বছর আগেই সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। ২০১৯ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেই ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি বার্টির কাছে হেরে গিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী চেক মেয়ে। এরপর অবশ্য এবারই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্লামের শেষ ১৬  পেরিয়েছেন ভন্দ্রুসোভা।

যাঁকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছেন ভন্দ্রুসোভা, সেই সভিতোলিনা জিতলে গল্পটা আরও আবেগময় হতে পারত। গত বছরের অক্টোবরে মা হওয়ার পর মাত্র মাস তিনেক আগেই পেশাদার টেনিসে ফিরেছেন ইউক্রেনের সভিতোলিনা। বিশ্বের ৭৬ নম্বর খেলোয়াড় তো এবারের উইম্বলডনটা খেলেছেন ওয়াইল্ডকার্ড নিয়ে।

সেই সভিতোলিনা আজ খেই হারিয়েছেন প্রথম সেটটা ৩-৩ সমতা থাকার পরে। সেখান থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেন ভন্দ্রুসোভা। টানা সাতটি গেম জিতে প্রথম সেট জয়ের পর দ্বিতীয় সেটেও ৪-০-তে এগিয়ে যান। সেখান থেকেই আবার সভিতোলিনা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে ৪-৩ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু এরপর আর পারেননি।

মেয়েদের এককের ফাইনালটা আগামী শনিবার। সেই ফাইনালের প্রস্তুতি কীভাবে সারবেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে ভন্দ্রুসোভার সপ্রতিভ উত্তর, ‘আমি এখন শুধুই নির্ভার কিছু সময় কাটাব।’