ফাইনালে ওঠার পর কোকো গফের উচ্ছ্বাস
ফাইনালে ওঠার পর কোকো গফের উচ্ছ্বাস

পরিবেশবাদী আন্দোলনের পর প্রথমবারের মতো ফাইনালে গফ

প্রথম সেটটা ভালোয় ভালোয় হলো। সেটিতে কোকো গফ ৬-৪ গেমে জিতলেনও। কিন্তু দ্বিতীয় সেটের শুরুতেই নাটক। আন্দোলন শুরু করে দিল পরিবেশবাদীরা। ফলে ৪৯ মিনিট বন্ধ থাকল খেলা। পুনরায় খেলা শুরু হওয়ার পর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দ্বিতীয় সেটটি ৭-৫ গেমে জিতে নেন গফ। এই প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠলেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ বছর বয়সী মেয়ে।

ফাইনালে গফের প্রতিপক্ষ আরিনা সাবালেঙ্কা। মেয়েদের আরেক সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন কিসকে ০-৬, ৭-৬ (৭/১) ও ৭-৬ (১০/৫) গেমে হারিয়েছেন বেলারুশের তারকা। সাবালেঙ্কার ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল।

১৯৯৯ সালে সেরেনা উইলিয়ামসের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কম বয়সী নারী হিসেবে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছেন গফ। ম্যাচ জেতার পর পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীদের জন্য সমবেদনা জানিয়েছেন, ‘নিশ্চয়ই আমি পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি জানি। আমি জানি, বিষয়গুলো আমরা আরও ভালোভাবে করতে পারি।’

গফ এরপর যোগ করেন, ‘আমার ম্যাচে এমন ঘটনা না ঘটুক, আমি এটাই চাইতাম। কিন্তু আন্দোলনকারীদের নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’

ফাইনালে গফের প্রতিপক্ষ সাবালেঙ্কা

ইউএস ওপেন শেষে ইগা সিওনতেকের জায়গায় র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান নেবেন সাবালেঙ্কা। তিনি অবশ্য ১৭তম বাছাই ম্যাডিসনের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে পেয়েও গর্বিত, ‘এই ম্যাচ বিষয়গুলো ঘুরিয়ে দিয়ে আমি জিততে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্বিত।’

ম্যাচের কঠিন সময়ে নিজেকে কীভাবে উজ্জীবিত করেছেন, সেটা নিয়ে সাবালেঙ্কা বলেছেন, ‘আমি শুধু নিজেকে বলেছি, এসো, চেষ্টা করে যাও। কীভাবে চেষ্টা করবে, আমি জানি না। কিন্তু বাড়তি কিছু করো। শুধু ম্যাচটা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করো। আমি মনে করি এই চিন্তাই আমাকে ম্যাচে থাকতে সাহায্য করেছে।’