অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এবারই প্রথম চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন কার্লোস আলকারাজ। ম্যাচ শেষে গতকাল কোর্টে দাঁড়িয়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ২০ বছর বয়সী স্প্যানিশ তারকা। তখনই প্রসঙ্গটা তোলেন সঞ্চালক, ‘আপনার বয়স ২০ বছর। তাঁর (আলকারাজের প্রতিপক্ষ) বয়স ১৮ বছর। কখনো নিজের চেয়ে কম বয়সী কারও মুখোমুখি হননি...।’
এটুকু বলতেই হাসির রোল উঠল রড লেভার অ্যারেনার গ্যালারিতে। গত বছর উইম্বলডন এবং তার আগের বছর ইউএস ওপেনজয়ী এই তারকার মুখেও হাসিটা চিকচিক করে ফুটল। ‘টেনিসে অনেক তরুণ খেলোয়াড় উঠে আসছে, সেটা এই খেলার জন্যই ভালো’—এমন দার্শনিকসুলভ কিছু কথা বলার পর আলকারাজও একটু মজা করলেন, ‘যাক, শেষ পর্যন্ত নিজের চেয়ে বয়সে ছোট কারও সঙ্গে খেলতে পারলাম!’
সেই খেলা মোটেও জমেনি। ছেলেদের র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় সেরা আলকারাজ চীনের শ্যাং জিনচেংয়ের বিপক্ষে ৬-১, ৬-১, ১-০ গেমে এগিয়ে ছিলেন। তখন চোটের কারণে জিনচেং নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। মাত্র ৬৬ মিনিটের লড়াইয়েই চতুর্থ রাউন্ডের টিকিট পেয়ে যান আলকারাজ। তাঁর শটের বৈচিত্র্য এবং শক্তির সামনে দাঁড়াতেই পারেননি র্যাঙ্কিংয়ে ১৪০তম জিনচেং।
ম্যাচ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আলকারাজকে মনে করিয়ে দিয়ে সঞ্চালক একটু কৌতুকও করলেন, ‘এখন কি তাহলে অনুশীলনে ফিরবেন? এখানে নতুন একটি স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হয়েছে। কী করবেন? স্প্যানিশ খাবার খেতে যাবেন নাকি অনুশীলন করবেন?’
আলকারাজ হেসে বললেন, ‘কঠিন সিদ্ধান্ত। তবে আমি প্রতিদিনই স্প্যানিশ রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া করি। এত শক্তি আমি কোথায় পাই, ওই স্প্যানিশ খাবার খেয়েই তো।’
‘তাহলে তো বলতেই হয়, আপনি অনেক বেশি খান নিশ্চয়ই’—উপস্থাপক আরেকটু মজা করলেন। আলকারাজ স্বীকার করলেন ভুল বলেননি উপস্থাপক, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে আমি আমার দলবল নিয়েই খেতে যাই। আজ যাব কি না, সেই সিদ্ধান্ত পরে নেব।’
চোটের কারণে গত বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে না খেলা আলকারাজ চতুর্থ রাউন্ডে খেলবেন পোল্যান্ডের উবার্ট উরকাজের বিপক্ষে।