বিশ্বের ৮ নম্বর নারী টেনিস তারকা মারিয়া সাক্কারি, ইউএস ওপেনের ম্যাচে
বিশ্বের ৮ নম্বর নারী টেনিস তারকা মারিয়া সাক্কারি, ইউএস ওপেনের ম্যাচে

ইউএস ওপেনের কোর্টে গাঁজার গন্ধ, দাবি গ্রিক টেনিস তারকার

খেলার সময় কোর্টে ‘গাঁজা’র গন্ধ পেয়েছেন, এমন বলেছেন বিশ্বের ৮ নম্বর নারী টেনিস তারকা মারিয়া সাক্কারি। ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডে ৭১ নম্বর রেবেকা মাসারোভার কাছে সরাসরি সেটে হারা ম্যাচে এমন গন্ধ পেয়েছেন বলে দাবি সাক্কারির।

ফ্ল্যাশিং মিডোর ১৭ নম্বর কোর্টে স্পেনের মাসারোভার বিপক্ষে ম্যাচ ছিল ২৮ বছর বয়সী সাক্কারির। শেষ পর্যন্ত ৬-৪, ৬-৪ গেমে ম্যাচটি হারেন গ্রিক তারকা। অবশ্য প্রথম সেটে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন তিনি। সে সময়ই গন্ধ পাওয়ার কথা আম্পায়ারকে বলেন সাক্কারি।

‘ওহ ঈশ্বর, আমার মনে হয় পার্ক থেকে আসছে (গন্ধটা)’—সাক্কারিকে বলতে শোনা যায় এমন। ৪-১-এর লিড অবশ্য খুইয়ে ফেলেন সাক্কারি। পরের সেটেও সুবিধা করতে পারেননি তিনি।

ম্যাচের সময় আম্পায়ারের কাছে গন্ধ নিয়ে অভিযোগ তুললেও এটিকে মোটেই হারের অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে সাক্কারি বলেন, ‘আমরা গতকাল এখানে অনুশীলন করছিলাম। গতকালও ছিল গন্ধটি। এমন নয় যে আমার স্কোরিংয়ে ওই গন্ধ প্রভাব ফেলেছে।’

প্রথম রাউন্ডে সরাসরি সেটে হেরেছেন সাক্কারি

তাহলে কেন আম্পায়ারকে বলেছিলেন, সেটির ব্যাখ্যায় সাক্কারি বলেন, ‘আমি বেশ গন্ধ পাচ্ছিলাম বলেই অমন মন্তব্য করেছি। ম্যাচের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।’

সাক্কারির সংবাদ সম্মেলন অবশ্য শুধু গাঁজার গন্ধেই আটকে ছিল না। সেটি একসময় বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে। এ বছর টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লামের প্রথম রাউন্ডেই হারলেন সাক্কারি। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়া সাক্কারি জানান, নিকট ভবিষ্যতে তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করছে, সেটি তিনি জানেন না।

এ ম্যাচে নিজের পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে সাক্কারি বলেন, ‘আমি ভালো খেলছিলাম, এমন বলব না। যদি কমপক্ষে আরও ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভালো খেলতাম, ম্যাচটি জিততাম। এসব ম্যাচ আমাকে জিততে হবে। এসব ম্যাচ হারলে চলবে না। আর আমার পর্যায়ে এমন ম্যাচ এ বছর অনেক বেশি এসেছে, যেটি দুর্ভাগ্যজনক।’

এরপর সাক্কারি যোগ করেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, খেলার মান বাজে ছিল, এমনটিই হয়ে আসছে। এ নিয়ে কিছু করতে হবে। আমার দিক থেকে প্রচেষ্টার ঘাটতি নেই, সেটি নিশ্চিত। তবে আমি জানি না, এটি বেশ অনিশ্চিত। আমি জানি না কী করব, বিরতি নেব কি না।’