ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ২৪ গ্র্যান্ড স্লাম জেতা খেলোয়াড় তিনি। সর্বকালের সেরার তালিকাতেও অনায়াসে চলে আসে তাঁর নাম। কিন্তু সেই নোভাক জোকোভিচ এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা বা রুপা জিততে পারেননি। কখনো যে ফাইনালেই খেলা হয়নি। ২০০৮ আসরে জেতা ব্রোঞ্জই তাঁর অলিম্পিক ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ সাফল্য।
তবে অতীতের অর্জনকে এবার ছাড়িয়ে যাওয়াটা নিশ্চিত করেছেন জোকোভিচ।
প্রথমবারের মতো পেয়েছেন অলিম্পিক ফাইনালের টিকিট। গতকাল সেমিফাইনালে ইতালির লরেনৎসো মুসেত্তিকে জোকোভিচ হারিয়েছেন ৬–৪, ৬–২ গেমে। তবে ফাইনালের লড়াইটা তাঁর জন্য মোটেই সহজ হবে না। যেখানে তিনি প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবেন কার্লোস আলকারাজকে। স্প্যানিশ তারকার বিপক্ষে এর আগে পরপর দুটি উইম্বলডনের ফাইনালে হেরেছেন জোকোভিচ।
অন্য সেমিফাইনালে ফ্রান্সের ফেলিক্স অয়েঁর–আলিয়াসিমেকে আলকারাজ হারিয়েছেন ৬–১, ৬–১ গেমে। ফাইনালে উঠে দুই তারকাই গড়েছেন বিপরীতমুখী দুটি মাইলফলক। ৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচ হয়েছেন সবচেয়ে বেশি বয়সে অলিম্পিকের ফাইনালে ওঠা খেলোয়াড় আর ২১ বছর বয়সী আলকারাজ ফাইনালে উঠলেন সবচেয়ে কম বয়সে।
ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল নিশ্চিত করার পর জোকোভিচ বলেছেন, এটা অনেক বড় ব্যাপার। পাশাপাশি তরুণ আলকারাজকে এ সময় তিনি ফেবারিট হিসেবেও মেনে নেন, ‘যেভাবে খেলছে, সে নিশ্চিতভাবেই ফেবারিট।’
ফাইনালে ওঠার পর উচ্ছ্বাসেও ভেসেছেন জোকোভিচ, ‘দেশের জন্য আরও এক ধাপ ওপরের পদক নিশ্চিত করেছি। এখন শনিবার যা-ই ঘটুক, যা হয়েছে, তা অনেক বড়। নিশ্চিতভাবেই আমি এখন গর্বিত ও আনন্দিত। সে জন্য আমি এভাবে উদ্যাপন করেছি। এটা অনেক বড় সাফল্য।’
জোকোভিচের উদ্যাপনে বিস্মিত হয়েছেন কি না, জানতে চাইলে মুসেত্তি বলেছেন, ‘আমি জানি সোনা জেতাটা নোলের (জোকোভিচের ডাক নাম) জন্য কী অর্থ বহন করে। আমি মোটেই বিস্মিত হইনি।’
ফাইনাল নিয়ে কথা বলেছেন আলাকারাজও। মাত্র কদিন আগেই উইম্বলডনে জোকোভিচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এরপরও সোনা জয়ের লড়াইকে সহজ ভাবছেন না তিনি, ‘নোভাকের মুখোমুখি হওয়া সব সময় কঠিন। সেটা ফাইনালে হোক কিংবা প্রথম রাউন্ডে।’
অন্য দিকে নারী এককের সোনার লড়াইয়ে আজ বিকেলে মুখোমুখি হবেন কিনওয়েন ঝেং ও ডোনা বেকিচ। সেমি ফাইনালে রোলাঁ গারোর রানিখ্যাত শীর্ষ বাছাই ইগা সিওনতেককে সরাসরি ৬–২ ও ৭–৫ গেমে হারান ঝেং। আর উইম্বলডনের সেমি ফাইনালিস্ট বেকিচ অন্য সেমিতে স্লোভাকিয়ার আনা কারোলিনাকে হারিয়েছেন ৬–৪, ৬–০ গেমে।