অলিম্পিক টেনিস এমন রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে দেখেছে কি আগে? ১৯৮৮ সালে অলিম্পিকে টেনিসের প্রত্যাবর্তনের পর এমন নখ কামড়ানো উত্তেজনার ছেলেদের ফাইনাল যে হয়নি সেটি বলাই যায়। কী এক লড়াই–ই না উপহার দিলেন নোভাক জোকোভিচ ও কার্লোস আলকারাজ। টেনিসের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মিলে সোনার পদকের ম্যাচে অনেক দিন মনে রাখার মতো ‘সোনালি’ এক ম্যাচই খেললেন।
যেহেতু প্রতিযোগিতা, একজনকে তো জিততেই হতো। সেই জয়টি পেলেন জোকোভিচ। ৩৭ বছর বয়সে পঞ্চমবারের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের সোনা জিতলেন ছেলেদের টেনিসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক। ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন রোববারের ফাইনালটা জিতেছেন ৭–৬ (৭/৩), ৭–৬ (৭২/) গেমে।
দুই সেটের ম্যাচ শেষ হয়েছে ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে প্রতিটি পয়েন্টের জন্য কতটা লড়াই করেছেন জোকোভিচ–আলকারাজ। দুই সেটেই কেউ কারও সার্ভিস ব্রেক করতে পারেননি। তবে ২৪টি গেমেই অবিশ্বাস্য লড়াই করেছেন দুজন, নিখুঁত টেনিস খেলে প্রতিটি পয়েন্টে পেতে হয়েছে তাঁদের।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য নোভাক জোকোভিচ নামের পোড় খাওয়া এক অভিজ্ঞ নামের কাছে হেরে গেলেন টেনিসের ভবিষ্যৎ। আলকারাজ হারলেন জোকোভিচ নামের অদম্য এক মানসিকতার কাছে। সেই জোকোভিচ, মাসখানেক আগেই যাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেই জোকোভিচ, ডান পায়ে টেপ পেঁচিয়েই যাঁকে পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে হলো।
শেষ পর্যন্ত ১৬ বছরের অপেক্ষার পর অলিম্পিকে সোনার হাসি হাসতে পারলেন জোকোভিচ। শেষ পয়েন্টটি পাওয়ার পর অবশ্য মুখ ঢেকে সুখের কান্নাও কাঁদলেন তিনি। কাঁদলেন অবশেষে ক্যারিয়ার ‘গোল্ডেন স্লাম’ পূর্ন করার আনন্দে।
টেনিস ইতিহাসের মাত্র পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম ও অলিম্পিক সোনা জিতেই ক্যারিয়ার গোল্ডেন স্লাম পূর্ণ করলেন জোকোভিচ। তাঁর আগে এই কীর্তি ছিল স্টেফি গ্রাফ, আন্দ্রে আগাসি, রাফায়েল নাদাল ও সেরেনা উইলিয়ামসের।