গ্র্যান্ড স্লামের এককে দীর্ঘতম টাইব্রেকারের ম্যাচে হেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই ছিটকে গেছেন ইয়েলেনা রিবাকিনা
গ্র্যান্ড স্লামের এককে দীর্ঘতম টাইব্রেকারের ম্যাচে হেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই ছিটকে গেছেন ইয়েলেনা রিবাকিনা

রেকর্ড টাইব্রেকারে অবাছাই খেলোয়াড়ের কাছে হেরে রিবাকিনার বিদায়

‘আমরা কোথা থেকে শুরু করব’—রড লেভার অ্যারেনায় লরা রবসন ম্যাচ শেষে আনা ব্লিনকোভার সাক্ষাৎকারের শুরুটাই করলেন এই প্রশ্ন দিয়ে। আজ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অঘটনের শিকার হতে হতে বেঁচে গেছেন বেশ কয়েকজন তারকা। কিন্তু অঘটন এড়াতে পারেননি ইয়েলেনা রিবাকিনা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের গতবারের রানারআপ এবার দ্বিতীয় রাউন্ডেই হেরে গেছেন রাশিয়ার অবাছাই খেলোয়াড় ব্লিনকোভার কাছে।

রিবাকিনাকে হারানোর পর ব্লিনকোভাকে লরা রবসনের অমন প্রশ্ন করার একটি কারণ আছে। গ্র্যান্ড স্লামের ইতিহাসে দীর্ঘতম টাইব্রেকারের রেকর্ড হয়েছে এই ম্যাচে। ২ ঘণ্টা ৪৬ মিনিটের ম্যাচ জয়ের পথে তিনি বাঁচিয়েছেন ৬টি ম্যাচ পয়েন্ট। শেষ পর্যন্ত জিতেছেন ৬-৪, ৪-৬, ৭-৬ (২২/২০) গেমে। সব মিলিয়ে এমন একটি ম্যাচ নিয়ে উচ্ছ্বসিত ব্লিনকোভা বলেছেন, ‘এ দিনটি আমি সারা জীবন মনে রাখব।’

জয়ের পর উচ্ছ্বসিত আনা ব্লিনকোভা

তৃতীয় ও শেষ সেটে ৪২ পয়েন্টের টাইব্রেকারে ব্লিনকোভা দুবার ম্যাচ জয়ের জন্য সার্ভ করেছিলেন। কিন্তু দুবারই ঘুরে দাঁড়ান ঠান্ডা মাথার রিবাকিনা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২২-২০ পয়েন্টে জিতে র‌্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর খেলোয়াড়কে ছিটকে ফেলেন ব্লিনকোভা।

এর আগে গ্র্যান্ড স্লাম টেনিসের এককে দীর্ঘতম টাইব্রেকার ছিল ৩৮ পয়েন্টের। এমন ঘটনা ঘটেছিল দুবার—প্রথমবার ২০০৭ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আর সর্বশেষ গত বছরের উইম্বলডনে। ২০০৭ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ম্যাচটি ছিল অ্যান্ডি রডিক ও জো-উইলফ্রিড সোঙ্গার। আর গত বছরের উইম্বলডনের ম্যাচটি ছিল মেয়েদের এককে, লেসিয়া সুরেঙ্কো ও আনা বোগদানের।

রিবাকিনাকে হারানোর পর ব্লিনকোভার উচ্ছ্বাস

এমন লম্বা ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে ব্লিনকোভা বলেছেন, ‘বুঝতে পারছি না, কী বলব। এটা খুব কঠিন ছিল। আমি শুধু প্রতিটি পয়েন্টের খেলার সময়ই মনোযোগী থাকতে চাই।’

৬টি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচানো নিয়ে ব্লিনকোভা বলেছেন, ‘আমাকে অনেক ম্যাচ পয়েন্ট জিততে হয়েছে এবং আমি সেই সময়গুলোতে আক্রমণাত্মক থাকতে চেয়েছি। কিন্তু আমার হাত কাঁপছিল, পাও কাঁপছিল। যত দূর সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করেছি এবং জিততে পেরে আমি মহাখুশি।’