ফ্রেঞ্চ ওপেনের ট্রফি হাতে কার্লোস আলকারাজ। আজ প্যারিসের রোলাঁ গারোয়
ফ্রেঞ্চ ওপেনের ট্রফি হাতে কার্লোস আলকারাজ। আজ প্যারিসের রোলাঁ গারোয়

ফ্রেঞ্চ ওপেন

৪ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের লড়াই জিতে নতুন রাজা আলকারাজ

চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট পেতেই র‍্যাকেটটা ফেলে দিয়ে শুয়ে পড়লেন কার্লোস আলকারাজ। একবার দুহাতে মুখ ঢাকলেন তো আরেকবার মুষ্টিবদ্ধ হাতে গর্জন করতে থাকলেন।

একটু পর উঠে দাঁড়াতেই দেখা গেল তাঁর টি শার্টের পেছনটায় আঠার মতো লেগে আছে লাল মাটি। আলকারাজ হয়তো এর স্পর্শই পেতে চাইছিলেন। তিনি যে এখন লাল দুর্গের নতুন রাজা, ফ্রেঞ্চ ওপেনের নতুন চ্যাম্পিয়ন।

প্যারিসের রোলাঁ গারোয় আজ ফ্রেঞ্চ ওপেনের ১২৩তম আসরের পুরুষ এককের ফাইনাল হলো ৪ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের। স্নায়ুক্ষয়ী সেই লড়াইয়ে জার্মানির আলেক্সান্দার জভেরেভকে ৩-২ সেটে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হলেন স্পেনের তরুণ সেনসেশন আলকারাজ।

অথচ প্রথম সেট জয়ের পর টানা দুই সেট হেরে পিছিয়ে পড়েছিলেন আলকারাজ।এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য গল্প লিখলেন। শেষ দুই সেটে জভেরেভকে পাত্তাই দিলেন না ২১ বছর বয়সী এই তারকা। আলকারাজের পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৩, ২-৬, ৫-৭, ৬-১ ও ৬-২।

এটি আলকারাজের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে জিতেছেন উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন। চার গ্র্যান্ড স্লামের মধ্যে এখন শুধু অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতা বাকি তাঁর।

আর ২৭ বছর বয়সী জভেরেভ এ নিয়ে নিজের দুই গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালেই হেরে গেলেন। এর আগে ২০২০ ইউএস ওপেনের ফাইনালে তিনি ২–০ সেটে এগিয়ে গিয়েও ৩–২ সেটে হেরে যান অস্ট্রিয়ার ডমিনিক থিমের কাছে।

স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনাল জয়ের পর গ্যালারিতে থাকা বাবা–মায়ের স্নেহের পরশ পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন আলকারাজ। শিরোপা উঁচিয়ে ধরার আগে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বললেন, ‘এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আমার একটি বিশেষ অনুভূতির কথা জানাতে চাই। আমার মনে আছে, স্কুল ছুটি হতেই আমি দৌড়ে বাড়িতে ফিরতাম এবং টিভি চালু করেই ফ্রেঞ্চ ওপেনের ম্যাচ দেখতে বসে যেতাম। আর আজ আমি আপনাদের সবার সামনে এই ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে যাচ্ছি।’

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে গ্যালারিতে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরেন আলকারাজ

স্পেনের অষ্টম টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতলেন আলকারাজ। তিনিও যে এই তালিকায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন, সেটাও জানিয়ে রাখলেন, ‘যেসব স্প্যানিশ খেলোয়াড় এই টুর্নামেন্ট জিতেছেন, সেই তালিকায় আমি নিজের নাম দেখতে চেয়েছিলাম। শুধু রাফাই (রাফায়েল নাদাল) নন, (হুয়ান কার্লোস) ফেরেরো, (কার্লোস) মোয়া, (আলবার্ত) কস্টাসহ আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের আরও যেসব কিংবদন্তি আছেন, নিজেকে তাঁদের পাশে দেখতে চেয়েছিলাম।’