>কোর্টে টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ তাঁরা। একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার সময় তিনজনের চোখেমুখেই জয়ের ইচ্ছাটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু টেনিস কোর্টের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কি তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব ফেলে? নোভাক জোকোভিচ জানালেন মজার এক তথ্য
পুরুষ টেনিসের ইতিহাসে এই তিনজনের চেয়ে বড় তারকা আর কেউ নেই। তিনজন মিলে জিতেছেন গুনে গুনে ৫৬টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। বলা হচ্ছে রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচের কথা। তাঁদের বলা হয় টেনিসের ‘বিগ থ্রি’। গত পনেরো বছর ধরে অন্তত নব্বই শতাংশ গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে এই তিনজনের দুজন মুখোমুখি হয়েছেন।
বোঝাই যায়, তিনজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা কত তীব্র। কিন্তু এই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রভাব কি তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর পড়ে? জোকোভিচ হেসেই উড়িয়ে দিলেন সে কথা!
দুবাইয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছেন বর্তমান অস্ট্রেলিয়ান ও উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। সেখানেই ‘ফাঁস’ করেছেন মজার এক তথ্য। জানিয়েছেন, তিনজনের সম্পর্ক যথেষ্ট উষ্ণ। এমনকি, তিনজনের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও আছে যেখানে তাঁরা নিয়মিত বার্তা আদান প্রদান করেন!
পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার কোনো কমতি নেই জোকোভিচদের, ‘আমরা কখনো হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকটিভ থাকি, কখনো থাকি না। যখন থাকি, তখন আমরা একে অন্যের মেসেজের জবাব দিই। আমরা তিনজন তিনজনকে বেশ পছন্দ করি। আমাদের তিনজনের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের বিষয়টা যথেষ্ট বেশি। সেটা ব্যক্তিগত ও পেশাদার উভয় ক্ষেত্রেই। আমার মনে হয় ব্যাপারটা এমন থাকলে এটা টেনিসের জন্যই ভালো।’
তিনজনের একজন এবার ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলবেন না। হাঁটুর চোটের কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন সুইস কিংবদন্তি ফেদেরার। ব্যাপারটা কষ্ট দিয়েছে জোকোভিচকে, ‘ফেদেরারের চোট আর অস্ত্রোপচার সম্পর্কে জেনেছি। আমাকে চমকে দিয়েছে ব্যাপারটা। আমি জানতাম ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকেই চোটের সঙ্গে লড়ছে। চোটের সঙ্গে কাউকে লড়াই করতে দেখতে কিংবা অস্ত্রোপচার হতে দেখতে ভালো লাগে না আমার।’