তিনটি উইম্বলডন ও ছয়টি গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী বরিস বেকারকে দেউলিয়া আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছেন লন্ডনের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালত। কিংবদন্তি টেনিস তারকার বিরুদ্ধে ২৪টি অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে চারটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বাকি ২০ মামলায় খালাস পেয়েছেন বেকার।
৫৪ বছর বয়সী জার্মান কিংবদন্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল দেনার দায় থেকে বাঁচার জন্য লাখ লাখ পাউন্ডের সম্পত্তি লুকিয়ে রেখেছিলেন। এর মধ্যেআছে দুটি উইম্বলডন ট্রফিও। সাবেক ১ নম্বর তারকা স্পেনের মায়োর্কাতে বিপুল সম্পত্তি কিনেছিলেন। কিন্তু সে সম্পদের বিপরীতে ৩০ লাখ পাউন্ড ধার শোধ না করায় ২০১৭ সালের ২১ জুন তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বাস করা বেকার দাবি করেছিলেন, তাঁর সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্ব তত্ত্বাবধায়কদের দেওয়া ছিল। বহুদিন ধরে তাঁদের ওপর আস্থা রেখেই চলছিলেন তিনি। তাঁদের সব ধরনের সাহায্য করেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শুনে কাজ করেছেন। তাঁর আইনজীবী জোনাথন লেইডল বলেছে, তাঁদের অনেকেই সুপরামর্শ দিয়েছেন। আবার অনেকেই সুবিধা ভোগ করতে চেয়েছেন। বরিস বেকার মানুষকে অতি মাত্রায় বিশ্বাস করেন, এটাই নাকি তাঁর কাল হয়েছে।
বরিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব ঝামেলা মেটাতে নিজের বিয়ের আংটিও দিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু আজ শুক্রবার লন্ডনের আদালতে জুরিরা চারটি অভিযোগে বেকারকেই দোষী বলেছেন। সে অভিযোগগুলো হলো সম্পত্তি সরানো, দেনা লুকানো ও দুটি আলাদা সম্পত্তি লুকানোর অভিযোগ।
বরিস বেকার এ মামলায় আগাম জামিন নিয়ে রেখেছেন।