জোকোভিচ
জোকোভিচ

বলছেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান  

জোকোভিচের চোখ ২০২৩ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে

টান টান উত্তেজনার নাটক শেষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন না খেলেই দেশে ফিরতে হয়েছে নোভাক জোকোভিচকে। এই সময়ের পুরুষ টেনিসের ১ নম্বর তারকার ভিসা বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। সাধারণত অস্ট্রেলিয়ার ভিসা বাতিল করে কাউকে বের করে দিলে পরবর্তী তিন বছর সেই ব্যক্তি আর অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকতে পারেন না।  তাহলে কি জোকোভিচের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল—স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে এই প্রশ্ন।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান ক্রেইগ টাইলি অবশ্য আজ আশার কথা শুনিয়েছেন জোকোভিচ-ভক্তদের। টাইল বলেছেন, রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের সঙ্গে গ্র্যান্ড স্লাম পুরুষ একক জয়ের রেকর্ড ভাগাভাগি করা জোকোভিচ আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ফেরার চিন্তাভাবনা করছেন।

অস্ট্রেলিয়ায় খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে জোকোভিচের

জোকোভিচের সঙ্গে যা কিছু হয়েছে তা ভুল–বোঝাবুঝির কারণেই হয়েছে বলছেন টাইলি। টাইলিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল জোকোভিচ কি ২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার চিন্তা করছেন কি না। উত্তর দিতে দেরি করেননি টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। তাঁর ইচ্ছে ওরকমই। আসল কথা হলো সে বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় ও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে ভালোবাসে।’

তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ভেন্যু মেলবোর্ন যে রাজ্যে অবস্থিত সেই ভিক্টোরিয়ার রাজ্যের সরকারপ্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজের কথা হতাশ করতে পারে জোকোভিচ-ভক্তদের, ‘রাফা (নাদাল) ঠিকই বলেছে। সে (জোকোভিচ) টিকা নিলেই তো এত সব ঝামেলা হয় না। লোকটা (জোকোভিচ) নিজেকে টুর্নামেন্টের চেয়েও বড় মনে করে। আসলে সে তা নয়।’

নোভাক জোকোভিচ

করোনা টিকা নিতে অনিচ্ছুক জোকোভিচ বিশেষ ছাড় নিয়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। তবে ভিসা বাতিল করে মেলবোর্নের বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় তাঁকে, পাঠানো হয় ডিটেনশন সেন্টারে। পরে আদালতে আপিল করে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন ২০ বারের গ্র্যান্ড স্লামের মালিক। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী আবারও বাতিল করেন জোকোভিচের ভিসা। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবারও আদালতে আপিল সফল না হওয়ায় দেশে ফিরে যেতে হয়েছে জোকোভিচকে।

জোকোভিচের দীর্ঘদিনের কোচ মারিয়ান ভাইদা বলেছেন এই ঘটনায় জোকোভিচ মানসিকভাবে কতটা বিধ্বস্ত হয়েছেন, ‘পুরো বিষয়টা তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এটা তাকে অনেক দিন যন্ত্রণা দেবে এবং এখান থেকে বেরিয়ে আসাটাও কঠিন হবে ওর জন্য।’

না খেলেই দেশে ফিরেছেন জোকোভিচ

জোকোভিচের সামনে ছিল ২১তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু সেই সুযোগটা তো পেলেন না জোকোভিচ। আদালতের রায় শোনার পর জোকোভিচও তাই হতাশার কথা শুনিয়েছিলেন। সার্বিয়ায় ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘আদালতের এই রায়ে দেশের সীমান্ত আরও সুরক্ষিত হলো।

জোকোভিচকে বিশেষ সুবিধা দিলে আরও অনেক ব্যক্তিকেই এই সুবিধা দিতে হতো।
এভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে সার্বিয়ায় ফেরত যাওয়ার বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি জোকোভিচও। তাঁর ভাবমূর্তির অনেক ক্ষতি হয়েছে। আদালতের খরচ ও যাতায়াত খরচ দাবি করে টেনিস অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারেন জোকোভিচ। তবে টাইলি আজ বললেন মামলার খবর শুধুই গুজব।