এক কোচ এভাবে ব্যবহার করেছেন নিজের দৈনিক খাদ্য ভাতা!
এক কোচ এভাবে ব্যবহার করেছেন নিজের দৈনিক খাদ্য ভাতা!

উইম্বলডনে ‘দই কেলেঙ্কারি’, খেলোয়াড়–কোচদের ‘সুবিবেচক’ হওয়ার আহ্বান

উইম্বলডনে প্রত্যেক কোচ ও খেলোয়াড় প্রতিদিনের খাবার খরচ হিসেবে ৯০ পাউন্ড পান। এই ৯০ পাউন্ড সেই খেলোয়াড় বা কোচ কীভাবে ব্যবহার করবেন, সেটি সম্পূর্ণ তাঁর ব্যাপার। কেউ ৯০ পাউন্ডের পুরোটাই এক বৈঠকে খেয়ে শেষ করতে পারেন, এটি জমিয়েও রাখতে পারেন। কিন্তু এবারের উইম্বলডনে খাবার নিয়ে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যাতে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে আয়োজক অল ইংল্যান্ড ক্লাব। কোচ ও খেলোয়াড়দের প্রত্যেকের কাছে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে তারা। সেখানে বলা হয়েছে, খাদ্য ভাতা যেন তাঁর ‘সুবিবেচনা’র সঙ্গে ব্যবহার করেন।

কী এমন ঘটনা ঘটেছে, যাতে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে তোলপাড়! ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান জানিয়েছে, এবারের উইম্বলডনে এক টেনিস খেলোয়াড়ের কোচ এক বৈঠকে ২৭টি ইয়োগার্ট প্যাক (দই) নিজের ব্যাগে ভরেছেন। নিজের খাদ্য ভাতার পরিপূর্ণ ব্যবহারই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য, কিন্তু তাই বলে এক ধাক্কায় ২৭ খানা ইয়োগার্ট প্যাক নিয়ে যাবেন! ব্যাপারটি এমন নয় যে বেআইনি। ওই কোচ তো নিজের খাদ্য ভাতার মধ্যেই ওই ২৭টি ইয়োগার্ট নিয়েছেন। এর পরপরই অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেই মেইল—‘৯০ পাউন্ডে যা ইচ্ছা আপনারা খেতে পারেন, কিন্তু সেটি সুবিচেনাপ্রসূত হলে খুব ভালো হয়।’

উইম্বলডনে প্রতিদিনের খাদ্যভাতা পান খেলোয়াড় ও কোচরা

মেইলে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি খেলোয়াড় ও কোচের জন্য প্রতিদিনের ভাতা আছে। তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের অর্থের পূর্ণ ব্যবহার যেভাবে ইচ্ছা করতে পারেন।’

উইম্বলডনে এই ৯০ পাউন্ড ভাতা খেলোয়াড় ও কোচরা ব্যবহার করতে পারেন ৬টি ভিন্ন জায়গায়। এই ছয়টি জায়গার মধ্যে আছে দুটি স্যান্ডউইচের দোকান, দুটি কফি শপ ও দুটি পরিপূর্ণ রেস্তোরাঁ। এই ভাতায় অবশ্য অ্যালকোহল–সংক্রান্ত কোনো সুযোগ নেই। অর্থ্যাৎ উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ অ্যালকোহল নিরুৎসাহিত করে।

সাম্প্রতিককালে ইংল্যান্ডে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সংকটের মধ্যে পড়েছে। তবে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের একটি সূত্রের বরাতে দ্য সান জানিয়েছে, এই মেইল দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সংকটের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়।

এর আগেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে দৈনিক খাদ্য ভাতা ও খাবারসংক্রান্ত সুযোগ–সুবিধার অপব্যবহার হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষ অবশ্য অল ইংল্যান্ড ক্লাবের মতো ই-মেইল দিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ করেনি। খাবারের সুবিধা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েই সেই অপব্যবহার রোধ করা হয়েছিল।