অদ্ভুত কারণে কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে উইম্বলডনে। বলা হচ্ছে, কর্মীসংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় হাস্যকর কারণে কর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। অল ইংল্যান্ড ক্লাবে এখন বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্লাম চলছে। টুর্নামেন্ট চালাতে কত কর্মী প্রয়োজন হতে পারে, সে হিসাব কষতে গিয়ে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, না বলে টয়লেটে যাওয়াকে কারণ দেখিয়ে আতিথেয়তা বিভাগের কিছু অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে!
অন্তত তিনজন অস্থায়ী কর্মী দাবি করেছেন, কাজ শেষ করার পর পান করছিলেন, এই অজুহাতে তাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে। ১৯ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হাউসকিপিং বিভাগে চাকরি পেয়েছেন। ভালো বেতন পাওয়ায় বেশ খুশি ছিলেন। কিন্তু সে আনন্দ উবে গেছে তাঁদের, ‘বুধবার আমরা কাজ করছিলাম এবং লাঞ্চের সময় আমার বন্ধু হিলে (সেন্টার কোর্টের পাশে) বলে কিছু স্ট্রবেরি খেয়েছে। এরপর ওকে একটা মেইল করে জানানো হলো, ওকে আর কোনো কাজ দেওয়া হবে না। আমরা তো এখন বিরতিতে কী করব না করব, এ নিয়ে ভয়ে থাকি। হিলেও বসছি না, যদি বলে আমাদের আর আসার দরকার নেই, এ ভয়ে। পুরো ব্যাপারটাই খুব অদ্ভুত।’
আরেক অস্থায়ী কর্মী পুরো ব্যাপারকে ‘লজ্জাজনক’ বলেছেন, ‘পুরো ব্যবস্থাপনার চিত্র বলে দিচ্ছে এটা। তারা যেভাবে পারছে, লোক ছাঁটাই করছে। ওদের আসলে লোক বেশি এবং ওরা বলছে, যথেষ্ট দর্শক নাকি আসেনি, অন্তত ওরা যতটা আশা করেছিল, এ কারণেই ছাঁটাই করছে তারা। ওদের লোক বেশি বলে ছাঁটাই করছে, আর কর্মীদের খেলা দেখা, পান করাকে অজুহাত দেখাচ্ছে।’
কর্মীদের কাছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পাঠানো এক ই-মেইলে নিশ্চিত করা হয়েছে, অল ইংল্যান্ড লন টেনিস এবং ক্রোকেট ক্লাব (এইএলটিসি) কর্মী কমানোর চেষ্টা করছে, ‘আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন, দর্শকের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে কম, এ কারণে এইএলটিসি আমাদের কর্মী কমানোর কথা ভেবে দেখতে বলেছে।’
এ বছর উইম্বলডনে দর্শক তুলনামূলক কম। সাধারণ দিনে ৪২ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারেন। তবে মাঝেমধ্যে এর বেশি দর্শকও থাকেন। কিন্তু বুধ ও বৃহস্পতিবার ৩৮ হাজার ৫০০ দর্শক ছিলেন।
এ ব্যাপারে এইএলটিসির মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনে যে কর্মীরা সাহায্য করেছেন, তাঁদের সবাই আমাদের জন্য মূল্যবান। বিশ্বমানের এই ইভেন্ট আয়োজনে তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ।’