সেরেনাকে হারানোর পর হারমনির উচ্ছ্বাস
সেরেনাকে হারানোর পর হারমনির উচ্ছ্বাস

অভিষেকেই সেরেনাকে হারিয়ে চমকে দিলেন হারমনি

হারমনি ট্যানের জন্ম ১৯৯৭ সালে প্যারিসে। তার দুই বছর আগেই কুইবেকে বেল চ্যালেঞ্জে পেশাদার টেনিস কোর্টে অভিষেক ঘটে সেরেনা উইলিয়ামসের। কাল উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে হারমনি যখন মার্কিন কিংবদন্তির মুখোমুখি হলেন, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দুঃস্বপ্ন দেখার কথা।

সেরেনা ওপেন যুগে সর্বোচ্চ ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী তারকা। আর অবাছাই হারমনি এবারের আগে কখনো উইম্বলডনে খেলেননি। টিভিতে সেরেনা-ভেনাসদের খেলা দেখে বড় হয়েছেন। তাঁর কোচ নাথালিয়ে তাউজিয়াতের অভিজ্ঞতা রয়েছে সেরেনার মুখোমুখি হওয়ার। অথচ ২৪ বছর বয়সী এই ফরাসি মেয়ে কিনা উইম্বলডনে নিজের অভিষেক ম্যাচে সেরেনাকে হারিয়ে দিলেন!

প্রায় এক বছর, দিনের হিসাবে ৩৬৪ দিন পর টেনিসের একক ইভেন্টে ফিরেছিলেন ৪০ বছর বয়সী সেরেনা। এই বয়সেও লড়েছেন দারুণ। এক সেট পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, বাঁচিয়েছেন ম্যাচ পয়েন্ট, টাই-ব্রেক; প্রায় ৩ ঘণ্টা ১১ মিনিটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আর জিততে পারেননি।

প্রথম রাউন্ডে তাঁর বিপক্ষে ৭-৫, ১-৬, ৭-৬ (১০-৭) গেমের জয়ে ঘাসের কোর্টে নিজের প্রথম জয় তুলে নেন র‌্যাঙ্কিংয়ে ১১৫তম হারমনি ট্যান। সেরেনার বিপক্ষে এমন জয় তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো, ‘হ্যাঁ, স্বপ্নের মতো লাগছে। ছোটবেলায় সেরেনাকে টিভিতে দেখেছি। আমার কোচ নাথালিয়ে তাউজিয়াত ২০ বছর আগে তাঁর সঙ্গে খেলেছে। সে (সেরেনা) কিংবদন্তি। ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী কারও মুখোমুখি হলে ভয় লাগবেই। কোর্টে নামার পর আমিও ভীত ছিলাম। কিন্তু জিততে পেরে ভালো লাগছে।’

হারের পর সেরেনা

তাউজিয়াত ফ্রান্সের সাবেক টেনিস খেলোয়াড়। সেরেনার মুখোমুখি হওয়ার আগে এই কোচ হারমনিকে বলেছিলেন, উইম্বলডনে প্রথম ম্যাচ, সেটাও সেন্টার কোর্টে সেরেনার বিপক্ষে। ম্যাচটা উপভোগের মন্ত্র পেয়েছিলেন কোচের কাছ থেকে। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে এমনভাবে জিতলেন যে এবারের উইম্বলডনে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সময়ের ম্যাচ হয়ে রইল।

সেরেনার প্রত্যাবর্তন ভালো না হলেও দমে যাননি তিনি। এই বয়সেও টেনিস খেলে যাচ্ছেন, তাই অবসর নেওয়ার প্রসঙ্গটা উঠল হারের পর। মার্কিন তারকা অবসর নেওয়ার সম্ভাবনা আপাতত উড়িয়ে দিচ্ছেন। এ বছর ইউএস ওপেনেও অংশ নিতে চান, ‘ইউএস ওপেনে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছি। এটা তাই বিশেষ কিছু। স্বাভাবিকভাবেই এই টুর্নামেন্টে খেলার অন্য রকম প্রেরণা পাব।’ তবে আগামী বছর উইম্বলডনে তাঁকে দেখা যাবে কি না—এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি সাতবারের এই উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন, ‘আপাতত খেলা তো শুরু করেছি। দেখা যাক কী ঘটে, তারপর এ নিয়ে ভাবা যাবে।’

এখনই অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন না সেরেনা

প্রায় ১২ মাস আগে এই উইম্বলডনেই প্রথম রাউন্ডে চোটের কারণে কাঁদতে কাঁদতে কোর্ট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন সেরেনা। ৩৬৪ দিন পর সেই উইম্বলডনেরই একক ইভেন্টে ফিরে হার দেখতে হলো র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২০৪তম স্থানে নেমে যাওয়া কিংবদন্তিকে।