ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদদের তালিকায় শীর্ষ তিনে আছেন (বাঁ থেকে) মাইকেল জর্ডান, টাইগার উডস ও আরনল্ড পালমার
ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদদের তালিকায় শীর্ষ তিনে আছেন (বাঁ থেকে) মাইকেল জর্ডান, টাইগার উডস ও আরনল্ড পালমার

ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদ কে

বড় মাপের খেলোয়াড়েরা কি শুধুই তারকা? টাকার কুমিরও। আলিশান বাড়ি, ঝাঁ–চকচকে গাড়ি আর খরচ করার মতো অঢেল টাকা—এই তো তারকাদের জীবন।

প্রশ্নটি তাই সব সময়ই উঠেছে, ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী অ্যাথলেট কে? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে জার্মানির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ‘স্ট্যাটিস্টা’।

খেলাধুলার আর্থিক বিষয়াদিতে বিশেষজ্ঞ এই প্রতিষ্ঠান খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক, স্পনসরশিপ এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক চুক্তির ভিত্তিতে সবচেয়ে বেশি আয় করা ৪০ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে।

শীর্ষে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, না লিওনেল মেসি—এ নিয়ে মনের মধ্যে দ্বিধা চলতে পারে। আগেই জানিয়ে রাখা ভালো, স্ট্যাটিস্টার হিসাবে মেসি কিংবা রোনালদোর মধ্যে কেউ-ই ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী অ্যাথলেট নন।

মেসি ও রোনালদো ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদদের তালিকার শীর্ষ তিনে নেই

এই ‘সিংহাসন’ বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিএ তারকার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৩০ কোটি ডলার। কিছুদিন আগে বাস্কেটবল ফ্র্যাঞ্চাইজি দল শার্লট হরনেটসে নিজের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার পর স্ট্যাটিস্টার এই তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন জর্ডান। এ ছাড়া নিজের নামে নাইকির ‘এয়ার জর্ডান’ স্নিকার্স বিক্রি থেকেও প্রচুর উপার্জন ছাড়াও বিভিন্ন পণ্যের দূতিয়ালিও করেন ৬০ বছর বয়সী জর্ডান।

জর্ডানের পর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান যথাক্রমে ইতিহাসের অন্যতম সেরা তিন গলফারের। সর্বোচ্চ ৮২ বার পিজিএ ট্যুরজয়ী যুক্তরাষ্ট্রের টাইগার উডস ২৫০ কোটি ডলার নিয়ে তালিকার দুইয়ে। ১৭০ কোটি ডলার নিয়ে পরের স্থানটি দখল করেছেন আরনল্ড পালমার। এরপর আছেন গলফার জ্যাক নিকলাস। যার সম্পদের পরিমাণ ১৬৩ কোটি ডলার। গলফারদের এই চোখধাঁধানো সম্পদের পেছনে শুধু প্রাইজমানি আছে, তা নয়, তাঁরা বিলাসবহুল বিভিন্ন পণ্যের দূতিয়ালি করেও বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।

বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের সম্পদের ধারেকাছে কেউ নেই

এই চারজনের পর পঞ্চম স্থানটি পেয়েছেন একজন ফুটবলার। তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকার সম্পদের পরিমাণ ১৫৮ কোটি ডলার। রোনালদোর ঠিক কাছাকাছি অবস্থানে বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমস, যাঁর সম্পদ ১৫৩ কোটি ডলার। ৭ নম্বরে আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেসির সম্পদ ১৪৮ কোটি ডলার।

মেসির ঠিক পেছনে অবস্থান করছেন মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা ফ্লয়েড মেওয়েদার, যাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৪১ কোটি ডলার। টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার আছেন তালিকার ৯ নম্বরে। গত বছর টেনিসকে বিদায় বলে দেওয়া ফেদেরারের সম্পদের পরিমাণ ১৩৮ কোটি ডলার।

১৩৬ কোটি ডলার নিয়ে ফেদেরারের ঠিক পেছনে আছেন আরেক গলফার ফিল মিকেলসন। এ ছাড়া শতকোটি ডলারের ক্লাবে থাকা অন্যরা হলেন মাইকেল শুমাখার (১৩১ কোটি ডলার), ডেভিড বেকহাম (১২৮ কোটি ডলার) এবং কোবি ব্রায়ান্ট (১০৫ কোটি ডলার) অন্যতম।