বিশ্বকাপ ফুটবল ঘিরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে উন্মাদনার কমতি নেই। প্রিয় দল, প্রিয় ফুটবলারদের নিয়ে সবারই আছে আবেগ আর প্রত্যাশা। আছে বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক স্মৃতিও। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের বিশ্বকাপ–ভাবনা নিয়ে এই আয়োজন। আজ শুনুন গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদের কথা
বিশ্বকাপ প্রায় শেষের পথে। ম্যাচগুলো দেখছেন?
নিয়াজ মোরশেদ: প্রিমিয়ার দাবা লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কিছু ম্যাচ দেখতে পারিনি। তবে এখন নিয়মিত দেখছি। শেষ কয়েকটি ম্যাচে যা ভেবেছি, ফল তাই হয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো আর ফ্রান্স জিতবে ভেবেছিলাম। দুই দলই জিতেছে।
আপনি কোন দলের সমর্থক?
নিয়াজ: ব্রাজিল। ১৯৮২ বিশ্বকাপে জিকো-সক্রেটিসদের খেলা ভালো লেগেছিল। আসলে আমি ব্রাজিলের সমর্থক হয়েছিলাম জিকোর খেলা দেখে। এখন ভালো লাগে কিলিয়ান এমবাপ্পের খেলা। কী দুর্দান্ত গতি ছেলেটার!
ক্রোয়েশিয়ার কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের হার কীভাবে দেখছেন?
নিয়াজ: ব্রাজিলের হয়ে ভালো পেনাল্টি নেয় নেইমার। অথচ তাকে প্রথমে শট নিতে পাঠানো হলো না। এতে অবাক হয়েছিলাম। যদিও এই ব্রাজিল দলটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো ছিল না। আরেকটু ভালো খেলা প্রত্যাশা করেছিলাম ওদের কাছে। তবে নেইমারদের বিদায়ে খুব খারাপ লেগেছে।
বিশ্বকাপ দেখার প্রথম স্মৃতি মনে আছে?
নিয়াজ: বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ প্রথম দেখি ১৯৭৪ সালে। সাদাকালো টিভির ওই সময়ে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র খোলেনি। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) নেদারল্যান্ডস আর পশ্চিম জার্মানির রেকর্ডকৃত ফাইনালটি দেখায়। ইয়োহান ক্রুইফের নেদারল্যান্ডস শুরুতে গোল করেও সেদিন হেরেছিল। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের কথা স্পষ্ট মনে আছে। তত দিনে সরাসরি খেলা দেখানো শুরু করে দিয়েছে বিটিভি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফাইনালে আর্জেন্টিনার মারিও কেম্পেস জোড়া গোল করেন। সেবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।
এবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারে কোন দল?
নিয়াজ: আমি ফ্রান্সকেই এগিয়ে রাখব। পর্তুগাল দলটাকে নিয়ে বড় কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু ওরা মরক্কোর বিপক্ষে ভালো খেলতে পারেনি। আসলে এই বিশ্বকাপটা চমকে ভরা। বড় চমকটা দেখিয়েছে মরক্কো।
সর্বোচ্চ গোলদাতা কে হতে পারেন?
নিয়াজ: পাঁচ গোল করে এমবাপ্পে এগিয়ে আছে। আমার মনে হচ্ছে সে–ই জিততে পারে গোল্ডেন বুট।