সাকিবের শিশির, শিশিরের সাকিব—দুজনের ভালোবাসার গল্প

সাকিব আল হাসান: খুব একটা পরিবর্তন যে হয়েছে, তা মনে হচ্ছে না। ব্যস্ত সময় কাটছে। ফ্যামিলি লাইফটা কী, বাড়তি কোনো দায়িত্ব আছে কি না, এসব বুঝতে পারছি না। যে কারণে আমার আলাদা কোনো ফিলিংস নেই। মনে হচ্ছে, যেমন ছিলাম, এখনো একই রকম আছি।

সাকিব: না, এমন কিছু নেই।

সাকিব: (হাসি) আমার কাছে তো একই লাগে। সত্যি কথা, আমার কাছে মনে হয়নি এমন কোনো চেঞ্জ আসছে। হয়তো পরে হবে, তবে এখন পর্যন্ত সে রকম পরিবর্তন নেই।

সাকিব: অনেক আগে থেকে প্ল্যান ছিল না। বিয়ে ঠিক হয়েছে...যেহেতু ও রকম সময়েই হওয়ার কথা ছিল, সামনে ওই ডেটটাও ছিল, ওই কারণেই...। এই তারিখে বিয়ে করতেই হবে, এমন কিছু ছিল না।

সাকিব: না।

সাকিব: না। আমি তেমন কোনো রি-অ্যাকশন পাইনি। আসলে সেভাবে তো বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। আমি আমার নিজের জিনিস নিয়ে ব্যস্ত। আগেও ব্যস্ততা ছিল। এখনো ব্যস্তই আছি। যে কারণে সেভাবে কিছু বুঝতে পারছি না। মাঠে তো এখনো দেখি, সবাই ভালোই সাপোর্ট করে। তাদের মধ্যে মেয়েরাও আছে (হাসি)।

সাকিব: দেখেছি। মজাই লেগেছে। (বিব্রত হাসি) এসব নিয়ে আমি অত চিন্তা করি না তো...

সাকিব: জানি না...ও রকম করে আসলে চিন্তা করিনি। কেন পছন্দ করলাম তার কোনো নির্দিষ্ট কারণ আসলে নেই। এই কারণে পছন্দ করলাম, এই কারণে না, এমন কিছু নয়। তবে ক্রিকেট বোঝে না, এটা ভালো লাগে।

সাকিব: আরে, এগুলো কী...বাদ দেন তো...(হাসি)।

সাকিব: মনে থাকা না-থাকা পরের কথা...এসব কি বলা যায় নাকি! আসলে আমি এসব নিয়ে খুব একটা ভাবি না (হাসি)।

সাকিব: (খুব তাড়াহুড়ো করে) ইংল্যান্ডে দেখা হয়েছে, লন্ডনে দেখা হয়েছে...এই তো!

সাকিব: না, রাস্তায় না। প্রোগ্রামেও না। আগে থেকেই পরিচয় ছিল, দেখা হয়নি। ও আমেরিকা থেকে লন্ডনে এসেছিল, আমি ওই সময় লন্ডনে ছিলাম। তো ওভাবে দেখা।

সাকিব: ফেসবুকে।

সাকিব: হ্যাঁ, পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে।

সাকিব: না, জানত যে ক্রিকেট খেলি। ক্রিকেট বোঝে না বলতে...খেলা তো সবাই দেখে, সবাই তো আর বোঝে না, জানে না। ছয়-চার এটা তো দুনিয়ার যে কেউই বোঝে। ক্রিকেট কম বোঝে। তো দেখলাম, ভালো।  কম বোঝা মানুষ আমার ভালো লাগে। খেলা শেষে ফোন করলে কেমন করেছি তা জিজ্ঞেসও করে না।

সাকিব: হুঁ, বলেছে।

সাকিব: (হাসি) না...(হাসি)।

সাকিব: কী জানি! আমার আসলে এত কিছু জিগ্যেস-টিগ্যেস করতে ভালো লাগে না। এত খোঁচাখুঁচি...আমি এগুলো নিয়ে এত বেশি চিন্তাভাবনাও করি না। জিজ্ঞেসও করতে ইচ্ছা করে না।

সাকিব: এটা ও-ই ভালো বলতে পারবে (হাসি)। আমি কী বলব...

সাকিব: ওই যে বললাম না, ক্রিকেট কম বোঝে। তো দেখলাম ভালো। কম বোঝা মানুষ আমার ভালো লাগে।

সাকিব: বেশি না, বলেই না। খেলা শেষে ফোন করলে কেমন করেছি তা জিজ্ঞেসও করে না।

সাকিব: না, সেভাবে না।

সাকিব: না, যত দূর আমি জানি।

সাকিব: যেটা হয়েছে, ২০১১ বিশ্বকাপে আমি বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন ছিলাম। তখন যত এক্সপোজার হয়েছে, তাতে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ টিমের ক্যাপ্টেনকে কে না চিনবে! এই তো এভাবেই চিনেছে।

সাকিব: দেখি, সময় হলে যাব।

সাকিব: না। আমি বললাম না, আমার ব্যস্ততা তখনো ছিল, এখনো আছে। বিয়ে করার পরদিন থেকেই আমি ব্যস্ত। খেলিনি, ঠিক আছে। তবে আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম।
শুভ্র: হানিমুনে কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা? ‘রিচ অ্যান্ড ফেমাস’রা যেসব জায়গায় যায়, তেমন কোথাও?
সাকিব: আগে দেশ ঘুরি ঠিকভাবে, তারপর না বিদেশ। আমি তো দেশই ঘুরিনি সেভাবে।

সাকিব: জানি না। আমার আসলে ফিক্সড কোনো জিনিস ভালো লাগে না। হঠাৎ মন চাইল, কোথাও চলে গেলাম। আগে থেকে প্ল্যান করে, গোছগাছ করে কিছু করতে ভালো লাগে না।

সাকিব: আমার এগুলো নিয়ে এত বেশি চিন্তাভাবনা নেই। যে স্মৃতি ধরে রাখতে হবে, সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু স্মৃতি বানাতে হবে। আমার মনে হয়, জীবন চলছে, চলুক...

সাকিব: (হাসি) আমি কেমনে বলব! আমার পক্ষে বলা ডিফিকাল্ট না?

সাকিব: আসলে এসব আমার পক্ষে বলা কঠিন। একেকজনের কাছে আমি একেক রকম। আমার কাছে আমি একরকম, মা-বাবার কাছে একরকম, বোনের কাছে একরকম, বাইরের মানুষের কাছে কী রকম...

সাকিব: যে যেভাবে নিয়ে রাখে। আমার এত টেনশন নেই।

সাকিব: সংসার শুরু করলাম কই যে হেল্প করব। না ওর রান্না করা লাগে, না আমার টাইম মেনে মেনে খাওয়া লাগে...বিয়ের পর থেকে তো হোটেলেই খাচ্ছি।

সাকিব: (হাসি) তেমন কিছু না। কাউন্টিতে গিয়ে আলু ভাজি-টাজি করা শিখে ফেলেছিলাম। মানুষ খাবার নিয়ে আসত বলে পরে আর করা লাগেনি। করা না লাগলে কে শখ করে রান্না করতে যায়! ডিমভাজি, ডিম পোচ এসব করতে পারি, এসব তো যে কেউই পারে।

সাকিব: (কথা শেষ করতে না দিয়ে) ভাই রে, আপনি পারেনও! বাদ দেন তো এবার (হাসি)।