‘একটা সময় আর চাপ নেওয়া যায় না’

গোলাম রব্বানী: না, আমি আর কোনো টুর্নামেন্টে যাব না। 

গোলাম রব্বানী: আমি সিরিয়াস। যা বলছি ভেবেচিন্তেই বলছি। আর আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। 

গোলাম রব্বানী: মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান জেনেছেন। বাফুফের ভারপ্রাপ্ত সেক্রোটারিও জেনেছেন। কিন্তু আমি অফিশিয়ালি জানাইনি। তিন-চার দিনের মধ্যে চিঠি দিয়ে দেব।

গোলাম রব্বানী: আমি মুখে বলিনি। আমার সহকারী কোচ লিটু জানিয়েছে। ও বলেছে তাঁদের যে, আমি আর থাকছি না। বিষয়টা হলো, আমি আর কাজ করব না। 

গোলাম রব্বানী: না, না। আমার চেয়ে ভালো আরও আসবে। এটা কোনো ব্যাপার নয়। 

গোলাম রব্বানী: আসলে এত বছর এই কাজটা করতে গিয়ে পরিবারকে সময় দিতে পারিনি। ব্যক্তিগত জীবনে সময় দেওয়া হয়নি। বন্ধুবান্ধব আছে, তাদেরও সময় দিতে পারিনি। একের পর এর টুর্নামেন্ট এসেছে। এখন মহিলা টিমের প্রতি সবার প্রত্যাশা বেড়েছে। সবার চাহিদা বাড়ছে। আমি মনে করি, এখন আমার বিশ্রাম দরকার। সবার চাহিদা মেটানো আসলে...। 

গোলাম রব্বানী: হ্যাঁ, করে ফেলেছি। এ মাসেই আমার শেষ। আমি থাকব না আর, এটাই ফাইনাল। এ মাস পর্যন্তই থাকব। 

গোলাম রব্বানী: আপনারা যে চোখে দেখেন, যারা কর্তৃপক্ষ, তারা সেভাবে দেখে কি না, সেটাই কথা।

গোলাম রব্বানী: আসলে প্রতিনিয়ত চারটার সময় ওঠা, যাওয়া (বাফুফেতে দলের কাছে), সারা দিন দলের সঙ্গে থাকা, তারপর কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করা। একটা বয়স তো আছে (জুলাইয়ে ৫৪ হবে)। একটা সময় আর চাপ নেওয়া যায় না। অতএব একটা সময় সিদ্ধান্তে আসা উচিত। 

গোলাম রব্বানী: সামনে ক্লাব কোচিংয়ে থাকব। আমি এখান থেকে বিদায় নিয়ে কিছুদিন বিশ্রাম নেব। তারপর অন্য কাজ। 

গোলাম রব্বানী: ওটা নিয়ে আমি কারও সঙ্গে তুলনায় যাব না। যেটা আমি বললাম, চাপ, জবাবদিহি, সবকিছু মিলিয়েই আসলে সরে যাচ্ছি।

গোলাম রব্বানী: এত বছর কাজ করেছি, ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে খারাপ তো লাগছেই। কিন্তু কিছু করার নেই। ২০০৬ সাল থেকে বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির অধীনে আমি জেলায় জেলায় গিয়ে কাজ করতাম। বয়সভিত্তিক দল তৈরিতে কাজ করেছি সে সময়। ২০০৮ সালে শফিকুল ইসলাম ও আবু ইউসুফ ভাইয়ের অধীনে নারী দলে সহকারী কোচ ছিলাম। এরপর ২০১০ সালের দিকে মূল দায়িত্ব পেয়ে আর পেছন তাকাতে হয়নি। একটানা কাজ করে এখন বিদায় বলছি।