এশিয়ান গেমস শুরুর আগে গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়কে হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। অনুশীলনে চোট পেয়ে দেশে ফিরছেন আতিকুর রহমান মিশু। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন থেকে কাল ফোনে নিজের চোট ও প্রাসঙ্গিক অনেক বিষয় নিয়ে কথা বললেন এই ডিফেন্ডার
আপনি দলের তিন সিনিয়র খেলোয়াড়ের একজন। আপনাকে ছাড়া এশিয়ান গেমসে খেলা মানে তো বড় ধাক্কাই?
আতিকুর রহমান মিশু: আমি জানি সেটা। কিন্তু কী করব বলুন, অনুশীলনে দুর্ভাগ্যবশত চোট পেলাম। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। মাঠে নেমে ম্যাচে চোট পেলে তাও সান্ত্বনা থাকত। এখন তো মনকে কিছুতেই বোঝাতে পারছি না।
কীভাবে চোট পেলেন?
মিশু: দক্ষিণ কোরিয়া এসে প্রথম অনুশীলন সেশনে আমাদের ফরোয়ার্ড জুয়েল রানার সঙ্গে একটা বলে গেলাম। তখনই অ্যাংকেলে চোটটা লাগে। জুয়েলের কোনো দোষ নেই। ভাগ্যটাই আসলে খারাপ আমার। দলের সব খেলোয়াড়েরই মন খারাপ।
কোচ ডি ক্রুইফ কী বলছেন?
মিশু: কোচ বলেছেন ব্যাডলাক। চোট তো বলে-কয়ে আসে না। আসলে উনি আমাকে পরিকল্পনায় রেখেই দলটা সাজিয়েছিলেন। এখন আমি না থাকা মানে কোচের পরিকল্পনায় গড়বড় হয়ে গেল। এখন দলের ওপর এটা প্রভাব না ফেললেই হয়। তাই আমার নিজের জন্য যতটা মন খারাপ তার চেয়ে দলের কথা ভেবেই বেশি খারাপ লাগছে।
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কোচ ডাক্তার-ফিজিও নেই। তা আপনার চিকিৎসা কীভাবে চলছে?
মিশু: দলের সঙ্গে ডাক্তার-ফিজিও থাকা খুব জরুরি ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নেই। এ বিষয়ে ফেডারেশন-বিওএ ভালো বলতে পারবে। তবে এখানে গেমসের ডাক্তার আছে। কাজেই সমস্যা হচ্ছে না। এক্স-রেসহ প্রয়োজনীয় সবই করা হয়েছে আমার। টিম ম্যানেজমেন্ট অনেক সহায়তা করেছে।
আপনার কী মনে হয়? এশিয়ান গেমসে এবার আমাদের ফল কী হতে পারে?
মিশু: সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করবে ভালো ফল করার জন্য। দেশের জন্য খেলা। সবাই সেটা উপলব্ধি করছে। তবে এই পর্যায়ের ফুটবল বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে জিততে হলে আসলে আমাদের এক শ ভাগের চেয়েও বেশি দিতে হবে মাঠে। খেলোয়াড়েরা অবশ্য সর্বস্ব উজাড় করে খেলতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশের কোনো গ্রুপসঙ্গী ওখানে গেছে? তেমন কোনো দলের সঙ্গে আপনাদের দেখা হয়েছে?
মিশু: আমাদের গ্রুপের কোনো দলকে (আফগানিস্তান, উজবেকিস্তান ও হংকং) এখনো দেখিনি। তবে ইরান দলকে দেখলাম। ইরান তো গেমসে সোনা জয়ের অন্যতম দাবিদার।
এমনিতে ইনচনে এশিয়ান গেমসের আয়োজন কেমন দেখছেন?
মিশু: আয়োজন বেশ ভালো। ভালো মাঠ, সব সুযোগ-সুবিধা আছে। আয়োজন নিয়ে কথা বলার আসলে কিছু নেই। তবে এসব আমার ভালো লাগছে না এখন। পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে হোটেলে বসে আছি। ডাক্তার তিন থেকে ছয় সপ্তাহ বিশ্রাম দিয়েছেন।
ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচটা তো আপনি দেখেননি?
মিশু: আমি দেখতে পারিনি। দেখুন, কত বড় দুর্ভাগ্য আমার। টিম হোটেল ফেরার পর শুনলাম, ভালোই খেলেছে। কয়েকটা সুযোগ মিস হয়েছে। এমন ম্যাচ খেলতে খেলতে আমাদের সামর্থ্য আসলে বাড়বে। আমরা তো এমন ম্যাচ কম খেলি, সেটা আরও বাড়াতে পারলে ভালো হবে।