‘অ্যাথলেট না হলে এখন হয়তো ইতালি থাকতাম’

ভাগ্যই আসলে খেলায় টেনে নিয়ে এসেছে আমাকে। তবে শুরুতে আমি লংজাম্প করতাম। কিন্তু লংজাম্পে প্রচার–প্রচারণা নেই। তাই স্প্রিন্টে চলে এলাম।

চেষ্টা তো করবই টিকে থাকতে। তবে শিরোপা ধরে রাখা সহজ নয়। মেজবাহ আজ দৌড়াননি। হয়তো সামনে বাংলাদেশ গেমস হলে দৌড়াবেন এবং আমাকে চ্যালেঞ্জ দেবেন।

কুমিল্লার তিতাসে আমাদের বাড়ি। এলাকায় খেলাধুলা করতাম। এক বড় ভাই ছিলেন, তাঁর আগ্রহে খেলায় আসি। একজন শিক্ষকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থায়। ওই সংস্থার হয়ে ঢাকায় জাতীয় জুনিয়র প্রতিযোগিতায় এসে লংজাম্পে ভালো করি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে ভালো ফল হলে নৌবাহিনীতে আমার চাকরি হয়ে যায়।

কী যে হতে চেয়েছিলাম...। ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলাম (হাসি)। এলাকায় ক্রিকেটও খেলতাম। কত দূর যেতে পারতাম জানি না। তবে ক্রিকেটের প্রতি একটা আকর্ষণ তো ছিলই।

হ্যাঁ, অ্যাথলেট। তবে অ্যাথলেট না হলে এখন হয়তো ইতালি থাকতাম। আমাদের এলাকার লোকজন বিদেশে থাকে বেশি। আমার ঘরের লোকও একজন আছেন বিদেশে। মধ্যবিত্ত পরিবার আমাদের। অত শিক্ষিত নয়। তাই পরিকল্পনা করে কিছু হয়নি জীবনে। দেখা গেছে, পূর্বপুরুষেরা যে পথে গেছেন, সে পথে আমিও যেতাম (বিদেশে পাড়ি দেওয়া)।

কারণ, আমার ভগ্নিপতি থাকেন ওখানে। তাঁর কাছেই চলে যেতাম। আমার ভাই থাকেন সৌদি আরব। হয়তো সৌদি আরবও যেতে পারতাম। তবে মনে হয় ইতালিতেই যাওয়া হতো। সৌদির ব্যাপারে আমার আগ্রহ ছিল না।

দেশের জন্য ভালো কিছু করা। গত এসএ গেমসে আমি দৌড়ে ১০০ মিটারে পঞ্চম হয়েছিলাম। গেমসে ১০০ মিটারে আমি দৌড়াই ১০.৭৬ সেকেন্ডে, চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের হাসানের টাইমিং ১০.৪৯ সেকেন্ডে। কাজেই খুব বেশি পার্থক্য নেই। দীর্ঘ মেয়াদে প্রশিক্ষণ পেলে ভালা করব এবং আমার আপাতত লক্ষ্য বিদেশে প্রশিক্ষণ নেওয়া।

আজ হাতঘড়িতে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আমার টাইমিং ১০.৫৫। খারাপ নয়। প্রশিক্ষণ পেলে আরও ভালো করা সম্ভব। করোনা না হলে হয়তো এত দিনে বিদেশে প্রশিক্ষণ পেতাম। শুধু বিদেশে প্রশিক্ষণ নয়, ঘরোয়া নিয়মিত খেলাও দরকার। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এসএ গেমস, সেখান থেকে এসে ন্যাশনাল পাই। কিন্তু এরপর করোনায় সব বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের আসলে অনেক বেশি খেলা দরকার।

এই টার্ফটা ভালো নয়। দৌড়ানো অনেক কঠিন। আশা করি, ভাঙাচোরা টার্ফটা বদল হবে। আমরা নতুন টার্ফ পাব।

উসাইন বোল্ট। তাঁর দৌড় দেখতে সব সময়ই ভালো লাগত।