এই ক্যাচটি নিয়েই কাল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রশিদ খান
এই ক্যাচটি নিয়েই কাল ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রশিদ খান

সহজ ক্যাচ ছেড়ে কঠিনটি নিয়ে রশিদ বললেন, ‘ক্রিকেটে সবই সম্ভব’

১১ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে গুজরাট টাইটানস। কাল ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সর্বশেষ ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে ৫৬ রানে হারিয়েছে তারা। সুপার লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ৩ ম্যাচের একটিতে জিতলেই প্লে–অফ খেলা নিশ্চিত হবে দলটির।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিলের তাণ্ডবে ২ উইকেটে ২২৭ রানের পাহাড় গড়েছিল গুজরাট। কুইন্টন ডি কক আর কাইল মায়ার্স দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়ায় লক্ষ্ণৌও সফল রান তাড়ার দিকে এগোচ্ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন ৮ ওভারে তুলেছিলেন ৮৮ রান।

চতুর্থ ওভারেই মায়ার্সকে আউট করার সুযোগ এসেছিল গুজরাটের। কিন্তু অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন রশিদ খান। তবে নবম ওভারে মায়ার্সের ক্যাচ ঠিকই নিয়েছেন আফগান স্পিনার রশিদ। এবারের ক্যাচটি অবশ্য কঠিন ছিল। ডিপ স্কয়ার লেগ থেকে ২৬ মিটার দৌড়ে এসে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।

মায়ার্স আউট হতেই লক্ষ্ণৌর রানের গতি শ্লথ হয়ে যায়। ৯ থেকে ১৪—এই ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান নিতে পারেন তাঁরা। মূলত সেখানেই তাঁরা ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন।

সহজ ক্যাচ ছেড়ে কঠিনটি নেওয়া প্রসঙ্গে রশিদ বলেছেন, ‘এটাই ক্রিকেট। এখানে যেকোনো কিছুই সম্ভব। ২২৭ রান করার পরও আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়ের নিয়ম চালু হওয়ার পর ৮–৯ জন ব্যাটসম্যান খেলাতে পারছে দলগুলো। এখন বোলারদের কাজ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেষ ৪ ওভারে ৬০–৬৫ রান তুলে ফেলাও সম্ভব। ফিল্ডারদের সহযোগিতা বোলারদের জন্য আরও জরুরি হয়ে পড়েছে। ৫ থেকে ১০ শতাংশ সুযোগকে ১০০ শতাংশে রূপান্তর করতে না পারলে ম্যাচ জেতা কঠিন।’

আর এক ম্যাচ জিতলেই সবার আগে প্লে অফ পর্বে উঠবে গুজরাট টাইটানস

জয়ের কৃতিত্বটা রশিদকেই দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। আফগান তারকার ক্যাচ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন গুজরাট অধিনায়ক, ‘অষ্টম বা নবম ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা সমতায় ছিল। (রশিদের) ওই ক্যাচ খেলার দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। এরপর আমরা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছি।’