হলান্ডকে দেখে শিখছেন রাগবি তারকা কাদান মার্লে
হলান্ডকে দেখে শিখছেন রাগবি তারকা কাদান মার্লে

হলান্ডকে নিয়ে গবেষণা করে নিজেকে প্রস্তুত করছেন এই রাগবি তারকা

মাত্রই শেষ হওয়া মৌসুমটা আর্লিং হলান্ডের জন্য ছিল স্বপ্নের মতো। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে এসে শুরু থেকেই হলান্ড ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। সিটির ট্রেবল জয়েও তাঁর ভূমিকা ছিল অনবদ্য। এমন পারফরম্যান্সের পর এখন ফুটবলাররাই শুধু নন, তাঁকে অনুসরণ করছেন অন্য খেলার তারকারাও। তেমনই একজন কাদান মার্লে। ইংল্যান্ডের রাগবি বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা মার্লে নিজের খেলার উন্নতির জন্য বেশ গভীরভাবে পর্যবক্ষেণ করছেন হলান্ডের গত মৌসুমের পারফরম্যান্স।

গত মৌসুমে মাঠের পারফরম্যান্সে সবার প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যান হলান্ড। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির হলান্ড করেছেন ৫২ গোল। অন্যদিকে গত মৌসুমে রাগবি প্রিমিয়ারশিপে গোল্ডেন বুট জয়ের মতো পারফরম্যান্স করে দেখিয়েছেন মার্লেও।

১৮ লিগ ম্যাচে তাঁর ট্রাই (প্রতিপক্ষ দলের গোললাইনে বল স্পর্শ করলে অন্য দলটি ৫ পয়েন্ট পেয়ে থাকে। এটিকেই মূলত ট্রাই বলা হয়) স্কোর ছিল সর্বোচ্চ ১৫। এমন পারফরম্যান্সের পরও নিজেকে নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন মার্লে। যে কারণে হলান্ডকে নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করে নিজেকে আরও পরিণত করার মিশনে নেমেছেন ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ।

হলান্ডকে নিয়ে নিজের গবেষণা নিয়ে মার্লে বলেছেন, ‘সব খেলোয়াড় অন্য খেলার খেলোয়াড়দের ওপর নজর রাখে। তারা যেভাবে উন্নতি করে, তা বিস্মিতও করে। আপনারা এ মৌসুমে (সদ্য শেষ হওয়া মৌসুম) তার গোলের রেকর্ডের দিকে তাকান। এটা অবিশ্বাস্য ছিল।’

চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি হাতে আর্লিং হলান্ড

হলান্ডেকে নিয়ে নিজের বিস্ময় গোপন না করে মার্লে আরও বলেছেন, ‘সে এত গোল করেছে যে তাকে বলা হয় ট্যাপ–ইন মার্চেন্ট (যে খেলোয়াড় শুধু গোল করে ডি–বক্সে অবস্থান করে। খুব বেশি বল স্পর্শ করে না)। কিন্তু এ জন্য আপনাকে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকতে হবে। এর অনেকটা নির্ভর করে আশপাশের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও বোঝাপড়ার ওপর।’

এ সময় অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে হলান্ডে বোঝাপড়ার বিষয়টি সামনে এনে মার্লে আরও যোগ করেন, ‘সে তার আশপাশ থেকে দারুণ কিছু অ্যাসিস্টও পেয়েছে। কেভিন ডি ব্রুইনা, বের্নার্দো সিলভা, (রিয়াদ) মাহরেজের মতো খেলোয়াড়েরা তাকে অ্যাসিস্ট করেছে। এরপরও পাশের খেলোয়াড়েরা কি করতে যাচ্ছে, তা বুঝতে এবং ফিনিশিংয়ের জন্য তাকে সঠিক সময় সঠিক জায়গায় থাকতে হবে। তাই তার খেলা অনুসরণ করলে আপনি দেখবেন সে সব সময় খুবই সতর্ক। সব সময় সে খেলার মধ্যে থাকে এবং কখন সুযোগ আসবে সে অপেক্ষায় থাকে। আজকের দিনে অনেক উইঙ্গার। এখান থেকেই অনেক ট্রাই আসে। সে জন্য আপনাকে ম্যাচটা ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং আপনার আশপাশে কে আছে তা জানতে হবে।’

ফুটবলের মতো সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরির মাধ্যমে সাফল্য পেতে চান মার্লেও। এ সময় সতীর্থ মার্কাস স্মিথের উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে শরীরি ভাষা। কিকের আগে মার্কাস কয়েকবার তাকায়, সে কখনো একবার তাকিয়ে কিক নেয় না। আপনি ফুটবল মাঠেও এমন ছোট ছোট বিষয় দেখতে পাবেন। ফুটবলাররা একে অপরকে নিয়ে কীভাবে গবেষণা করে, তা নিয়ে আমি সাক্ষাৎকারে তাদের কথা বলতে দেখেছি।’