১৬তম ওভারে ফাহিমা খাতুনের ব্যাটে ‘বিস্মৃত’ দুটি ঘটনা দেখল বাংলাদেশ। গ্রেস হ্যারিসকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩ ম্যাচ মিলিয়েও যে ছক্কা অনুপস্থিত ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। পরের বলে চারের পর ফাহিমা নিলেন সিঙ্গেল, বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ছুঁয়ে ফেলল ১০০ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৯৭।
ফাহিমা শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২১ বলে ২৭ রান করে। অধিনায়ক নিগার সুলতানা অপরাজিত ছিলেন ৬৪ বলে ৬২ রান করে। তৃতীয় উইকেটে মুর্শিদা খাতুনের পর ফাহিমার সঙ্গে নিগারের দুটি ফিফটি জুটিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ তুলেছে ৪ উইকেটে ১২৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে মাত্র দ্বিতীয়বার একই ম্যাচে দুটি ফিফটি জুটির দেখা পেল বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ছিল ওয়ানডে সিরিজের মতোই। ফারজানা হকের জায়গায় সুযোগ পাওয়া দিলারা আক্তার ম্যাচের প্রথম বলেই কাভার পয়েন্টে ক্যাচ তোলেন সোফি মলিনিউকে কাট করতে গিয়ে। এ নিয়ে তৃতীয়বার ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট হারাল বাংলাদেশ। দিলারা তবুও ১ বল খেলেই আউট, সোবহানা মোস্তারি তো কোনো রান না করে ফেরার আগে খেলেন ৮ বল।
২ ওভার শেষে ২ রানে ২ উইকেট—গল্পটা তো বাংলাদেশের জন্য গত কয়েক দিনে পুরোনোই। নামার পরই প্রথম বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে নিগার যেভাবে মিস করেছিলেন, তাতে বাংলাদেশের ব্যাটিং দুর্দশার আরেকটি নতুন অধ্যায় লেখা হবে বলেই মনে হচ্ছিল। মুর্শিদা ও নিগার অবশ্য সেটি বদলানোর কাজটি শুরু করলেন একটু সময় নিয়ে।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২৮ রান তুললেও বাংলাদেশের ইনিংস গতি পায় এরপর। মাঝের ১০ ওভারে স্বাগতিকেরা তোলে ৭৩ রান। ১১ তম ওভারে জর্জিয়া ওয়ারেহামের বলে এলবিডব্লু হন ২৭ বলে ২০ রান করা মুর্শিদা। ফাহিমা অবশ্য থামেন একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে।
মাঝে ৩৮ রানে জীবন পাওয়া নিগার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৭ বলে। ইনিংসে বাংলাদেশ অধিনায়ক মারেন ৭টি চার। শুরুতে নড়বড়ে মনে হচ্ছিল, তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে নিগার এগিয়েছেন দারুণভাবে। দলও পেয়েছে লড়াই করার মতো স্কোর।