পিএসজির তিন তারকা মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে
পিএসজির তিন তারকা মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে

পিএসজিতে মেসি, নেইমার, এমবাপ্পের কার কত বেতন

লিওনেল মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পে—এই তিনজনকে নিয়ে বর্তমান সময়ের ‘তারকাপুঞ্জ’ পিএসজির। তিনজন শীর্ষ তারকাকে সামলানো যে মোটেই সহজ নয়, সেই প্রমাণও এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। পিএসজিতে মেসি-নেইমারের সঙ্গে নাকি এমবাপ্পের সম্পর্কও খুব একটা স্বাভাবিক নয়। এমনকি মৌসুমের শুরুতে মেসি–নেইমারের গোলে এমবাপ্পের সহায়তা না থাকা নিয়েও অনেক কথা হয়েছে। পিএসজি খেলোয়াড়দের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহেরও কমতি নেই।

শুধু সম্পর্কই অবশ্য নয়, ক্লাব থেকে এই তিনজন কেমন বেতন পান, তা নিয়েও ভক্ত-সমর্থকদের কৌতূহলের কি আর শেষ আছে! সেই রহস্যেরই এবার খোলাসা করেছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপ। তাদের দেওয়া তথ্য বলছে, পিএসজিতে মেসি-নেইমারের চেয়ে বেশি বেতন পান এমবাপ্পে। যেখানে সামগ্রিকভাবে এমবাপ্পের বাৎসরিক বেতন ৭ কোটি ২০ লাখ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটা ৮৩৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

লেকিপের দেওয়া তথ্যমতে, প্যারিসের ক্লাবটিতে এমবাপ্পের মাসিক আয় ৬০ লাখ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭০ কোটি টাকা। কর-টর বাদ দেওয়ার পর যেটা ৪৬ লাখ ২০ হাজার ইউরোতে দাঁড়ায় (৫৩ কোটি টাকা)। আর যে নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পের দ্বন্দ্ব, তিনি পিএসজিতে পান মাসে ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ইউরো বা ৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন নেইমার।

নেইমার, এমবাপ্পে ও মেসি। পিএসজির অনুশীলনে

এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের বেতন মাসে প্রায় ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪০ কোটি টাকার মতো।

তালিকায় থাকা পিএসজির অন্য তারকাদের মধ্যে মার্কিনিওস ও মার্কো ভেরাত্তির আয় ১২ লাখ ইউরো করে। যেখানে রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমি পান ১০ লাখ ৮৩ হাজার ইউরো।

লেকিপের দেওয়া তথ্যমতে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন পান ম্যানচেস্টার সিটি তারকা কেভিন ডি ব্রুইনা। বেলজিয়ান মিডফিলন্ডার সপ্তাহে বেতন পান ৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

ডি ব্রুইনার ঠিক পরেই আছেন তাঁর ম্যান সিটি সতীর্থ আর্লিং হলান্ড। তাঁর সাপ্তাহিক বেতন ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তারকা গোলরক্ষক দি হেয়াও পান হলান্ডের সমান বেতন। পরের অবস্থানে থাকা মোহাম্মদ সালাহ পান ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার মতো।