‘বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়’—কথাগুলো কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের। বিপদ নিয়ে বাংলায় আরও একটা উক্তি আছে—বিপদ যখন আসে, চারদিক দিয়েই আসে!
মার্তিনা নাভ্রাতিলোভার বেলায়ও এটাই হচ্ছে। স্তন ক্যানসার তাঁর আগে থেকেই ছিল। ২০১০ সালে নাভ্রাতিলোভার স্তন ক্যানসার ধরা পড়েছিল। সাবেক টেনিস খেলোয়াড়ের এবার ধরা পড়েছে গলার ক্যানসার। গ্র্যান্ড স্লামের এককে ১৮টি শিরোপা জেতা নাভ্রাতিলোভা এ মাসের শেষ দিকে নিউইয়র্কে চিকিৎসা শুরু করবেন।
২০১০ সালে স্তন ক্যানসার ধরা পড়ার পরই চিকিৎসা নিয়েছিলেন টেনিসের সাবেক ১ নম্বর তারকা। চিকিৎসা করানোর পর তিনি ক্যানসারমুক্তও হয়েছিলেন। কিন্তু এবার পুরোনো সেই স্তন ক্যানসার তো ফিরেছেই, সঙ্গে যোগ হয়েছে গলার ক্যানসার। ৬৬ বছর বয়সী নাভ্রাতিলোভার দুই জায়গার ক্যানসারই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে।
নাভ্রাতিলোভা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন, ‘দ্বৈত এই আঘাত যে বড় ধাক্কা, সেটা না বললেও চলে। কিন্তু এটা ঠিক হয়ে যাওয়ার মতোই। আমি ভালো কিছুর আশাই করছি। কিছু সময়ের জন্য খারাপ লাগবে। কিন্তু আমি লড়াই করব।’
নাভ্রাতিলোভার ক্যানসার ধরা পড়ার খবর শুনে অনেকে তাঁকে শক্তি আর সাহস জোগাতে বার্তা দিয়েছেন অনেকে। ৯টি উইম্বলডন শিরোপা জেতা চেক–আমেরিকান টেনিস তারকা সবার ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত, ‘এটা বলার প্রয়োজন নেই যে খবরটি শোনার পর আমার মুঠোফোন ও টুইটার বার্তায় ভেসে যাচ্ছে। আমাকে সমর্থন জোগানোর জন্য সবাইকে আবারও ধন্যবাদ।’