ব্রাজিলের ৪–১ ব্যবধানের জয়ে তৃতীয় গোলটি করেছেন রিচার্লিসন। গোলটির আক্রমণের শুরুটা তিনিই করেছিলেন। মাথায় বল নিয়ে অসাধারণ জাগলিংয়ের পর তিনি বল দেন মার্কিনিওসকে। তাঁর থেকে বল যায় থিয়াগো সিলভার কাছে। সিলভা বল বাড়ান এই সময়ের মধ্যেই বক্সে ঢুকে যাওয়া রিচার্লিসনকে। তিনি বাঁ পায়ে যে শটে গোল করলেন, সেটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে ‘দ্য ফেনোমেনোন’ রোনালদো নাজারিওকে।
ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোনালদোও গোলটি গ্যালারিতে বসে দেখেছেন। ম্যাচ শেষে ফিফা রোনালদো–রিচার্লিসনকে সামনাসামনি বসিয়ে দেয়। সেখানে দুজন দুজনের সঙ্গে কথা বলেন। রোনালদো রিচার্লিসনকে গোল উদ্যাপনের নাচ নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেছিলেন। একটা সময় তিনি রিচার্লিসনকে বলেন নাচের মুদ্রাটা শিখিয়ে দিতে। রিচার্লিসনকও ফেনোমেনোনকে ‘কবুতর নাচ’–এর মুদ্রা শিখিয়ে দেন!
রিচার্লিসনের সঙ্গে আলোচনার একপর্যায়ে রোনালদো বলে ওঠেন, ‘এগিয়ে চলা যাক...এখনো তিনটি ম্যাচ আছে। আমাকে কিন্তু কবুতর নাচটা শিখিয়ে দিতে হবে। সে কিন্তু তিতেকেও নাচিয়েছে!’ এ সময় রোনালদো রিচার্লিসনকে শিরোপা জয়ের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী কথাও বলেন।
রোনালদোর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পেরে মুগ্ধ আর আপ্লুত রিচার্লিসন। ব্রাজিলের স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘আমি ভাষাহীন...আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।’