নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশের দিন কোন খাতে কী বরাদ্দ বাড়ল বা কমল, তা নিয়েই আলোচনা সব মহলে। ক্রীড়াঙ্গনও এর বাইরে নয়। আজ জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বাজেট পেশের পরপরই শুরু হয়েছে ‘ক্রীড়াঙ্গন কী পেল’ আলোচনা। সেখানে অবশ্য ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কোনো সুখবর নেই। প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে ক্রীড়াঙ্গনের কিছু খাতে বরাদ্দ বাড়লেও মূল বাজেটের আকার ৩২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা কমেছে।
গত অর্থবছরে প্রথমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বাজেট ছিল ১ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে অঙ্কটা দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৬৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ কমে হয়েছে ১ হাজার ৩০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন খাতে ৩৮২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৯২৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। নতুন অর্থবছরে পরিচালন ব্যয় প্রায় ৮০ কোটি টাকা বাড়লেও উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমেছে প্রায় ৪০৫ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতবার প্রথম যে বরাদ্দ ছিল, সেটার তুলনায় এবার বেড়েছে। গতবারের প্রস্তাবিত বাজেটের পর সংশোধিত বাজেটে আমাদের প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু গতবারের সংশোধিত বাজেট ধরলে এবার বরাদ্দ কমেছে। সংশোধিত বাজেটকে অবশ্য বেঞ্চমার্ক ধরা ঠিক হবে না। প্রথমে যেটা দেয়, সেটাকেই মুখ্য ধরা হয়।’
সংশোধিত বাজেটে চাহিদামতো বরাদ্দ পাওয়ার আশাবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যে বাজেট দিয়েছে, এবারও তাতে কিছু যোগ-বিয়োগ হতে পারে। সংশোধিত বাজেট আরও বরাদ্দ পাব আশা করছি। সেটা ধরলে গতবারের চেয়ে বাজেট বৃদ্ধি পাবে। আমাদের যে চাহিদাগুলো আছে, আশা করি, আমরা চাইলে সেগুলো পাব।’
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু খাতে আগের চেয়ে বরাদ্দ বেড়েছে। ক্রীড়া উন্নয়নে গতবার বাজেট ছিল ৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ খাতে নতুন বাজেটে ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খেলাধুলা আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে অনুদান দেয় সরকার। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য গতবার বরাদ্দ ছিল ৩০ কোটি ২০ লাখ টাকা। এবার তা বেড়ে ৩২ কোটি ৫১ লাখ টাকা হয়েছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীন থাকা সারা দেশের স্টেডিয়াম সংস্কারের বরাদ্দ ১০ কোটি ১০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া বিকেএসপির জন্য বরাদ্দ ৮৫ কোটি টাকা, গতবার যা ছিল ৮০ কোটি টাকা।