সেমিফাইনালে উঠে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছিলেন, ফাইনালে জায়গা করে নিতে চান। সেই লক্ষ্য পূরণে টাইমিং যে অনেক ভালো হতে হবে, মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি সেটাও। ১০.২০ এর মধ্যে দৌড়াতে হবে বলেছিলেন ইমরানুর রহমান। কিন্তু আজ হাংজু এশিয়ান গেমসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সেমিফাইনালে তাঁর টাইমিং হলো ১০.৪২ সেকেন্ড।
এই টাইমিং করে এশিয়ান গেমসে যে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের ফাইনাল নাম লেখানো সম্ভব নয়, তা ভালোই বুঝলেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। গেমসের ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছেন তিনি। সেমিফাইনাল ১-এ ৮ জনের মধ্যে হয়েছেন ষষ্ঠ।
গতকাল নিজের হিটে ১০.৪৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়ে সেমিতে ওঠেন ইমরানুর। তারপরই তিনি বলেছিলেন, ‘সেমিফাইনালে সেরাটা দেব। আরও ভালো টাইমিং করে ফাইনালে ওঠার আশা রাখছি।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না।
অথচ কদিন আগেই লন্ডনে একটি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটারে ক্যারিয়ারসেরা ১০.১১ সেকেন্ড সময় নেন ইমরানুর। সেই টাইমিংয়ের ধারেকাছেও তিনি যেতে পারেননি নিজের প্রথম এশিয়ান গেমসে। সেরা টাইমিংয়ের আশপাশে থাকলেও ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
ইমরানুরের সঙ্গে দৌড়ে ১০.১৭ সেকেন্ড নিয়ে ফাইনালে উঠেছেন মালয়েশিয়ার মোহাম্মদ ফাহমি আজিম। ১০.১২ সেকেন্ড নিয়ে ফাইনালে গেছেন ইন্দোনেশিয়ার মোহাম্মদ জহরি লালু। ইমরানুরের পেছনে থেকে সপ্তম হয়েছেন পাকিস্তানের গোহার শাহবাজ। তাঁর টাইমিং ১০.৪৯।
ইমরানুরের বড় সমস্যা ধারাবাহিকতা নেই। হঠাৎ একটা টুর্নামেন্টে ভালো টাইমিং করে সেটা আর ধরে রাখতে পারেন না। ১০০ মিটারের শুরুটা তাঁর ভালো হয়। ৫০-৬০ মিটার পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকেন। এরপর থেকেই ছিটকে যেতে থাকেন, যেমনটা হয়েছে আজও।
হাংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ থেকে অ্যাথলেটিকস থেকে শুধুমাত্র ইমরানুরকে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বড় আশা নিয়ে তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু ইমরানুর শেষ পর্যন্ত হতাশই করেছেন।
কিছুদিন ধরেই অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের যাবতীয় মনোযোগ তাঁর দিকে। কারণ, মনে করা হয় যে প্রবাসীরা অন্যদের চেয়ে ভালো করবেন। সেই চিন্তা থেকেই বক্সিংয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিন্নাত ফেরদৌসকে আনা হয়েছে এশিয়ান গেমসে। কিন্তু জিন্নাত বক্সিং রিংয়ে নিজের প্রথম ম্যাচেই ৫-০ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছেন। ইমরানুর অবশ্য এক ধাপ এগিয়ে তারপর বিদায় নিয়েছেন।