২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তান হকি দলের কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সেইগফ্রেড আইকমান
২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তান হকি দলের কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সেইগফ্রেড আইকমান

১২ মাস বেতন না পেয়ে চাকরি ছাড়লেন পাকিস্তানের হকি কোচ

টানা ১২ মাস বেতন না পাওয়ায় পদত্যাগ করেছেন পাকিস্তান হকি দলের কোচ সেইগফ্রেড আইকমান। নেদারল্যান্ডসের এই কোচ পদত্যাগের কারণ হিসেবে বেতনের কথা উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

২০১৮ সালে জাপানকে এশিয়ান গেমসে সোনার পদক এনে দেওয়া আইকমান পাকিস্তানের দায়িত্ব নেন ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৬ পর্যন্ত। তবে এখন পর্যন্ত ১৭ মাস দায়িত্ব পালন করলেও বেশির ভাগ সময়ই বেতন পাননি।

বেতন আটকে যাওয়ায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন আইকমান। জানুয়ারিতে দ্য ডনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দ্রুত বেতন না পেলে পরের মাসে চাকরি ছাড়ার হুমকিও দেন। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত যোগাযোগ করেন। কোনো সমাধান না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

২০১৮ এশিয়ান গেমসে সোনা জেতা জাপান দলের কোচ ছিলেন সেইগফ্রেড আইকমান

বেতন ছাড়া ‘কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব’ জানিয়ে আইকমান বলেন, ‘আমাকে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পূরণ করা হয়নি। আমি যে কথা দিয়েছিলাম, তা পূরণ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন সময় সামনে তাকানোর।’

সামাটিভির খবরে বলা হয়, পিএইচএফের সঙ্গে পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের (পিএসবি) দ্বন্দ্বের কারণে বেতন পাচ্ছিলেন না আইকমান। হকি ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি হায়দার হোসেন বলেন, পিএসবিকে কোচের অর্থ ছাড়ের কথা অনেকবার বলা হয়েছে। তারা কর্ণপাত করেনি।

জিও সুপারের খবরে বলা হয়, পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে প্রয়োজনীয় সুপারিশের জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। কমিটি পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধামন্ত্রীর কাছে ফেডারেশনে একটি তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠনের সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পিএইচএফ এ বিষয়ে কমিটিকে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ এক সদস্যের, ‘আন্তর্জাতিক হকিতে পাকিস্তানের সাত বছরের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে এখানে সবকিছু ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছি আমরা। একটা আহ্বায়ক কমিটি করে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। কিন্তু আমাদের জিজ্ঞাসায় ফেডারেশন কোনো সাড়া দেয় না।’