দক্ষিণ এশিয়ান জুনিয়র টেবিল টেনিসে গত বছর মালদ্বীপে একটি সোনা ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার পদকের সংখ্যা বেড়েছে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ইটানগরে আজই শেষ হওয়া প্রতিযোগিতায় সাতটি ব্রোঞ্জ ও দুটি রুপা জিতেছে বাংলাদেশ।
গতকালই অনূর্ধ্ব-১৯ ব্যক্তিগত বিভাগে প্রথমবার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আজ ফাইনালে অবশ্য মুহতাসিন আহমেদ হৃদয়-রামহিমলিয়ন বম জুটি পেরে ওঠেনি ভারতের জস মোদি ও শ্রীবাস্তব জুটির সঙ্গে।
প্রথম দুটি গেমে ৭-৫ ও ৯-৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশ হেরেছে। তৃতীয় গেমে জিতলেও চতুর্থ গেমে আবার হার। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছে হার ১-৩ সেটে। এ বিভাগে বাংলাদেশ জিতেছে রুপা, ভারত সোনা।
অনূর্ধ্ব ১৫ বিভাগে হাসিব ও মাহি সব গেমেই লড়াই করে ৩-০ সেটে হেরেছে ভারতের অভিনন্দন ও প্রিয়ানুজ জুটির কাছে, জিতেছে রুপা। অনূর্ধ্ব ১৯ এককের সেমিফাইনালে মুহতাসিন হেরে যান ভারতের পায়াস জেইনের কাছে ও রামহিমলিয়ন হেরেছেন অঙ্কুরের কাছে। দুজনই ব্রোঞ্জ যেতেন।
মেয়েদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো মেয়ে এককের সেমিফাইনালে পৌঁছান। সেমিফাইনালে ওঠার পথে বাংলাদেশের খই খই সাই মারমা শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়কে হারান। সেমিফাইনালে খই খই হেরে যান ভারতের যশস্বিনী ঘোড়পারের কাছে।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহসভাপতি খন্দকার হাসান মুনীর ইটানগর থেকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলগত অনূর্ধ্ব ১৯ বালক বিভাগে তিন দলের মধ্যে টাই হয়ে সোনা না হারালে ফলাফল আরও ভালো হতো বাংলাদেশের। এর আগে বাংলাদেশ কোনো বিভাগেই ফাইনাল খেলেনি। এবার দুটি ফাইনাল খেলেছে। সেদিক থেকে গতবারের চেয়ে ভালো ফল বলা যেতে পারে।’
জুনিয়র টিটি খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো করেছেন। আরও ভালো করতে আর্থিক পৃষ্ঠপোষণা চেয়েছেন হাসান মুনীর। তাঁর কথা, ‘আমাদের এই সম্ভাবনাময় ছেলেমেয়েদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশি কোচ ও আরও সুযোগ-সুবিধা দরকার। আশা করি, টেবিল টেনিস দলের প্রতি সবাই সহায়তার হাত বাড়াবে। আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’