প্যারিসে গেছেন অলিম্পিকে অংশ নিতে। অংশ নিয়েছেনও। এক ফাঁকে বেরিয়েছিলেন কোকেন কেনার জন্য। আর সেটি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া হকি দলের খেলোয়াড় টম ক্রেইগ। এই কাণ্ড ঘটেছে গত মঙ্গলবার।
পুলিশ অবশ্য ক্রেইগকে আর আটকে রাখেনি। জরিমানা বা অন্য কোনো শাস্তিও দেওয়া হয়নি। ক্রেইগকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছাড়া পেয়ে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ক্রেইগ টোকিও অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রুপা জিতেছিলেন। আন্তর্জাতিক হকিতে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এক শর বেশি ম্যাচে। বিবিসির খবরে বলা হয়, পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে ক্রেইগ সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছেন, ‘প্রথমত, গত ২৪ ঘণ্টায় যা হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা চাই। অনেক বড় একটা ভুল করেছি। আমি এর দায়িত্ব নিচ্ছি। এই কাজ আমার পরিবার, সতীর্থ, খেলা ও অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক দলের মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করে না, এর দায় আমার। আমি সবাইকে লজ্জিত করেছি। অনেক দুঃখিত।’
অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক কমিটির প্রধান আন্না মিয়ার্স ক্রেইগ মুক্ত হওয়ায় খুশি। তবে অপরাধের জন্য তাঁকে ক্ষমা করা যায় না বলেও মনে করছেন তিনি, ‘সে এমন একজন ভালো মানুষ, যে কিনা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এ ধরনের কাজের ফল তাকে পেতে হবে। সে ক্ষমা চেয়েছে, অনুতপ্ত। নিজের কাজের দায় নিয়েছে। ক্রেইগের সাহায্য দরকার হলে আমরা তাকে সাহায্য করব।’
এরই মধ্যে ক্রেইগ অলিম্পিক ভিলেজ থেকে বেরিয়ে গেছেন। অলিম্পিকে অন্য কোনো সুবিধা তিনি পাবেন না বলে জানিয়েছেন মিয়ার্স।
ক্রেইগকে মুক্তি দেওয়ার আগে প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস থেকে জানানো হয়, প্যারিসে একটি ভবনের নিচে কোকেন লেনদেন হওয়ার ঘটনা পুলিশ অফিসারদের চোখে পড়ে। এরপর বিক্রেতা ও ক্রেতা দুজনকে আটক করা হয়। ক্রেতা নিজেকে অস্ট্রেলিয়ার হকি দলের সদস্য হিসেবে দাবি করেন। যে পরিমাণ মাদক বিক্রেতার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে এই তদন্তের দায়িত্ব অ্যান্টি–নারকোটিস পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।
প্যারিস অলিম্পিকে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ ও নারী হকি দল।