বর্ষসেরা উদীয়মান ২০২২–এর ক্রেস্ট হাতে কামরুন নাহার কলি
বর্ষসেরা উদীয়মান ২০২২–এর ক্রেস্ট হাতে কামরুন নাহার কলি

বর্ষসেরা উদীয়মান ২০২২

ফুল হয়ে ফোটার অপেক্ষা কামরুন নাহারের

খুব বেশি দিনের ক্যারিয়ার নয় কামরুন নাহার কলির। এর মধ্যেই শুটিং বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালের অক্টোবরে কায়রোতে বিশ্ব শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে স্কোর করেছিলেন ৬২৯, যা বাংলাদেশি শুটারদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ১৩৪ জনের মধ্যে ১৪তম হয়ে সেবারও ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালেও জাকার্তায় বিশ্বকাপ শুটিংয়ে ৬২৮.৪ স্কোর গড়ে ফাইনালে উঠেছিলেন।

দুটি বিশ্ব শুটিং ফাইনাল যাঁর খেলা হয়ে গেছে, গতকাল সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে সেই কামরুন নাহার কলির হাতেই তুলে দেওয়া হলো ২০২২ সালের বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রীড়াবিদের পুরস্কার। ২০০৪ সাল থেকে যাঁরাই উদীয়মান ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেয়েছেন, পরবর্তী সময়ে তাঁরা মেলে ধরেছেন নিজেদের। কুড়ি বছর ধরে হয়ে আসা প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের দারুণ ব্যাপার এটিই। কামরুন নাহার এ তথ্য জেনে শুধু বললেন, ‘দায়িত্বটা অনেক বেড়ে গেল।’

অনেক দিন শুটিংয়ে বড় কোনো সাফল্য নেই। কামরুন নাহারও সেটি জানেন, ‘আমি আসলে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাকে পারতেই হবে। আমি জানি, অনেক দিন শুটিংয়ে বড় কোনো সাফল্য নেই। সেই সাফল্যে আমার মাধ্যমে দেশ পাক, চাই সেটিই। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’

কামরুন নাহারের হাতে উদীয়মানের স্বীকৃতি তুলে দেন মুমিনুল হক

সাফল্যের পেছনে মা–বাবা, ইরানি কোচ জায়ের রেজাই ও নৌবাহিনীর অবদানের কথাও বললেন তিনি, ‘আমি আমার বাবা–মায়ের কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাই। কোচ জায়ের রেজাইয়ের কাছ থেকে শিখেছি অনেক কিছু। আমি একজন নৌবাহিনীর শুটার। আমার এত দূর আসার পেছনে নৌবাহিনীর অবদান অনেক। আমি নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

পরে বলেছেন, ‘আমি এখন বড় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। বড় সাফল্য এনে দিতে চাই। এসএ গেমসে দেশকে সোনার পদক দিতে চাই। এশিয়াডেও চোখ রাখছি। এর আগে আরও অনেক প্রতিযোগিতা আছে, সেসব খেলে নিজেকে তৈরি রাখতে চাই।’

কামরুন নাহার কলি যেন এখন ফুল হয়ে ফোটার অপেক্ষায়।