ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন মাশরাফি হোসেন মারুফ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)
ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন মাশরাফি হোসেন মারুফ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)

ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু যুব গেমসে পদকজয়ী মাশরাফির

গলায় ঝোলানো রুপার পদক। মুখে হাসি। শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসে সাইক্লিংয়ের ডিসিপ্লিন শেষ হওয়ার পর তোলা ছবিটার রেশটা এখনো কাটেনি। কিন্তু সেই মাশরাফি হোসেন মারুফ এক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পাড়ি দিয়েছেন অনন্তলোকে!
ঢাকায় চলমান যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বে প্রথমবার খেলতে এসেই জিতেছিলেন তিনটি পদক। এর মধ্যে এককে এলিমিনেশন রেসে রুপা ও ২০০০ মিটার স্ক্যাচ রেসে জিতেছেন ব্রোঞ্জ। ২০০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়ালে দলগত ইভেন্টে রংপুর বিভাগকে রুপা জেতাতে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। কে জানত এটাই হবে তার ছোট খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের শেষ ইভেন্ট! আজ সকালে ট্রেন থেকে পড়ে মারা গেছেন ১৬ বছর বয়সের কিশোর।

মাশরাফির বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সাইতাড়া গ্রামে

মাশরাফির বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের সাইতাড়া গ্রামে। এবার খেলেছিলেন রংপুর বিভাগের হয়ে। বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ সাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘ছেলেটা যে রেলস্টেশনে মারা গেছে, সেটা মূল রেলস্টেশন না। ওখানে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস থামে না। কিন্তু ট্রেন গতি কমালে অনেক সময় যাত্রীরা নেমে পড়ে। মাশরাফির স্কুলটাও এই স্টেশনের পাশেই। ট্রেনের যখন গতি কম ছিল তখন সে ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে সতীর্থ বন্ধু সাইক্লিস্টদের নিজের স্কুল দেখানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত হাত ফসকে পড়ে যায়। রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সেখানেই মারা যায়।’  

বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহের উল আলম এরই মধ্যে দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। মাশরাফির লাশ যথাযথ প্রক্রিয়ার পর বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকেও (বিওএ) ঘটনাটা জানিয়েছেন তিনি। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় হতাশ তাহের উল আলম বলছিলেন, ‘অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে ছেলেটা। খুবই প্রতিভাবান সাইক্লিস্ট ছিল। আমরা একজন সেরা সাইক্লিস্টকে হারালাম। ওর পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার চেষ্টা করছি আমরা।’