দাবার বোর্ডে মগ্ন কার্লসেন ও প্রজ্ঞানন্দ (ডানে)
দাবার বোর্ডে মগ্ন কার্লসেন ও প্রজ্ঞানন্দ (ডানে)

পারলেন না প্রজ্ঞানন্দ, দাবার বিশ্বকাপ কার্লসেনের

দুই রাউন্ডের ক্ল্যাসিক্যাল দাবার ফাইনাল। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বিশ্বকাপ দাবার ফাইনালে সেই দুই রাউন্ডের ম্যাচ ড্র করেন ম্যাগনাস কার্লসেন ও প্রজ্ঞানন্দ। একজন দাবার সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, আরেকজনের বয়স মাত্র ১৮ বছর।

টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচ নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে হারিয়ে কি বিশ্বকাপ জিততে পারবেন ১৮ বছরের প্রজ্ঞানন্দ—আলোচনা চলছিল এ নিয়েই। টাইব্রেকারে গিয়ে শেষ পর্যন্ত পারেননি ভারতীয় তরুণ।

টাইব্রেকারের র‍্যাপিড গেমে ১.৫–০.৫ পয়েন্টে জিতে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন কার্লসেন। প্রথম গেমে কার্লসেন জেতার পর দ্বিতীয় গেম ড্র হয়।

র‍্যাপিড গেমে প্রতি খেলোয়াড় ২৫ মিনিট করে সময় পেয়েছেন ম্যাচ শেষ করতে। সঙ্গে প্রতিটি চালের জন্য ১০ সেকেন্ডের ইনক্রিমেন্ট পান তাঁরা। র‍্যাপিড দাবা শেষেও চ্যাম্পিয়নকে পাওয়া না গেলে দ্বিতীয় ধাপে গড়াত টাইব্রেকার রাউন্ড।

দ্বিতীয় রাউন্ডেও হতো দুটি র‍্যাপিড গেম। দ্বিতীয় রাউন্ডে ১০ মিনিট করে সময় পাওয়ার কথা ছিল প্রতিযোগীদের। সঙ্গে ১০ সেকেন্ডের ইনক্রিমেন্ট। এখানে সমতা থাকলে সাডেন ডেথে ব্লিৎজ গেম খেলতেন কার্লসেন ও প্রজ্ঞা। ব্লিৎজ দাবায় ৫ মিনিট করে সময় পেতেন তাঁরা। প্রতি চালের জন্য আরও ৩ সেকেন্ড করে সময় পান প্রতিযোগীরা। ব্লিৎজ গেমে যিনি প্রথম জিততেন, তাঁর হাতেই উঠত চ্যাম্পিয়নের ট্রফি।

এত কিছুর অবশ্য দরকার হয়নি টাইব্রেকারের প্রথম রাউন্ডেই প্রজ্ঞা হেরে যাওয়ায়। প্রজ্ঞানন্দের সুযোগ ছিল বিশ্বনাথন আনন্দের পর প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সেটা হতে না পারলেও তিনি ববি ফিশার ও কার্লসেনের পর তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে ক্যান্ডিডেট দাবায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্টে তিনি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনকে। কার্লসেন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন এবারও ক্যান্ডিডেট টুর্নামেন্টে লড়ার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই। ইয়ান নেপোমনিয়াচিচিকে হারিয়ে তাঁর ছেড়ে যাওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুটই মাথায় তুলেছেন ডিং লিরেন।