আমন্ত্রণটা পেয়ে একটু বেশিই উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান। দেশের বাইরে নিয়মিত গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ যে খুব কমই আসে ফাহাদের! শেষ পর্যন্ত ফাহাদের সেই আক্ষেপ একটু হলেও ঘুচতে যাচ্ছে। ইরানে পরপর দুটি গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টে খেলতে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ছাড়বেন তিনি। এই টুর্নামেন্টে খেলতে তাঁর সঙ্গী আরেক দাবাড়ু ফিদে মাস্টার মেহেদি হাসান পরাগ।
আগামী ৩-১০ ফেব্রুয়ারি তেহরানে অনুষ্ঠিত হবে পঞ্চম পায়তখত কাপ আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্ট। এরপর ১০-২০ ফেব্রুয়ারি রাশত শহরে হবে ১৯তম কাসপিয়ান সি কাপ গ্র্যান্ডমাস্টার দাবা। দুটি টুর্নামেন্ট থেকেই গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে ফাহাদের। সে ক্ষেত্রে সুইস লিগ পদ্ধতির খেলায় কমপক্ষে ৭ পয়েন্ট পেতেই হবে তাঁকে। সাম্প্রতিক সময়ে ফাহাদের পারফরম্যান্স যথেষ্ট আশাজাগানিয়া। গত ডিসেম্বরে প্রিমিয়ার বিভাগ দাবা লিগে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা ছিল ফাহাদের। এরপর জানুয়ারি মাসে জাতীয় দাবায় হয়েছেন রানারআপ। ইরানে গিয়েও পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান ফাহাদ, ‘গত কয়েক মাস আমি যেভাবে খেলছি, সেটা যদি ইরানে খেলতে পারি, তাহলে জিএম (গ্র্যান্ডমাস্টার) নর্ম হতেও পারে। আমার আত্মবিশ্বাস আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।’
ইরানের দুটি টুর্নামেন্টে খেলতে আবাসন খরচ ও নিবন্ধন ফি লাগবে না ফাহাদের। শুধু বিমানের টিকিটের খরচ বহন করতে হচ্ছে তাঁকে। বিশ্বের অন্য দেশের আয়োজকেরা এভাবে খেলার সুযোগ দিলে দ্রুতই গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম হতে পারেন বলে বিশ্বাস ফাহাদের, ‘দেশে নিয়মিত গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টের আয়োজন হয় না। কিন্তু আমার পক্ষে ইউরোপসহ অন্যান্য দেশের গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার খরচ সব সময় জোগাড় করা সম্ভব হয় না। ইরানের আয়োজকেরা আমাকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে, সেখানে থাকা–খাওয়ার কোনো খরচ লাগবে না। এমন সুবিধা অন্য আয়োজকদের কাছ থেকে পেলে বেশি বেশি টুর্নামেন্টে খেলতে পারব। এতে নর্ম পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে পারে আমার।’