ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দ্বিতীয় মুখোমুখিতেও রূপায়ন সিটির কাছে হেরেছে মোনার্ক পদ্মা।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দ্বিতীয় মুখোমুখিতেও রূপায়ন সিটির কাছে হেরেছে মোনার্ক পদ্মা।

নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে হেরে ক্ষুব্ধ রাসেল মাহমুদ

ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে মালয়েশিয়ান আম্পায়ার মোহাম্মদ রোহিজান সবুজ কার্ড দেখান মোনার্ক পদ্মার স্ট্রাইকার রাসেল মাহমুদকে। রূপায়ন সিটি কুমিল্লার সঙ্গে তখন ৩-৩ গোলে সমতায় ছিল মোনার্ক পদ্মা। কিন্তু ১০ জনের মোনার্ককে শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে হারিয়ে দেয় রূপায়ন সিটি কুমিল্লা।

ক্ষুব্ধ রাসেল মাঠে ঢুকেই তেড়ে যান বিদেশি আম্পায়ারের দিকে। সতীর্থরা টেনেও তাঁকে থামাতে পারছিলেন না। এরপর ডাগ আউটে গিয়েও আরেক দফা তেড়ে যান রূপায়ন সিটির খেলোয়াড়দের দিকে। ওই সময় রূপায়নের টিম ম্যানেজার মাহবুব এহসান রানা শান্ত করার চেষ্টা করেন রাসেলকে।

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রথম ম্যাচে মোনার্ক পদ্মা ৩-২ গোলে হেরেছিল রূপায়ন সিটির কাছে। কিন্তু মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আজও প্রতিশোধ নেওয়া হলো না মোনার্ক পদ্মার। লিগে ৩ ম্যাচে এটা দ্বিতীয় জয় রূপায়ন সিটি কুমিল্লার।

রূপায়ন সিটি কুমিল্লার হয়ে জোড়া গোল করেন সোহানুর রহমান। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনিই। ১টি করে গোল করেছেন পুস্কর খীসা, ওবায়দুল হাসান। মোনার্ক পদ্মার ১টি করে গোল করেছেন কৃষ্ণ কুমার, জাপানি খেলোয়াড় মিয়া তানিমিতসু ও কোরিয়ান খেলোয়াড় সি জং।

ম্যাচশেষের ২ মিনিট আগের গোলে মোনার্ক পদ্মাকে হারায় রূপায়ন সিটি কুমিল্লা

প্রথম কোয়ার্টারে ৩টি পেনাল্টি কর্নার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রুপায়ন কুমিল্লা। তবে ২২ মিনিটে ভারতীয় প্রদীপ মোরের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে পুস্কর খীসা দারুণ গোল করেন। এরপর ২৩ মিনিটে ওবায়দুল করেন ২-০।

২৭ মিনিটে অবশ্য কৃষ্ণ কুমারের গোলে (২-১) ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে মোনার্ক পদ্মা। কিন্তু ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে সোহানুর করেন ৩-১। পরপর দুই মিনিটে অবশ্য মিয়া তানিমিতসু ও সি জংয়ের গোলে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে মোনার্ক পদ্মা। কিন্তু ম্যাচ শেষের দুই মিনিট আগে সোহানুরের পেনাল্টি কর্নারের গোলে হৃদয় ভাঙে মোনার্ক পদ্মার।

এমন জয়ের পর দলের সহকারী কোচ মশিউর রহমান উচ্ছ্বসিত, ‘মোনার্ক পদ্মা গত ম্যাচটা অসাধারণ খেলেছিল। এক ম্যাচ আগেই আমরা হেরেছিলাম। তাই জয়ে ফেরা ছিল চ্যালেঞ্জের। জিততে পেরে আমরা খুশি।’