প্যারিস অলিম্পিকের অন্যতম কেন্দ্র ছিল আইফেল টাওয়ার
প্যারিস অলিম্পিকের অন্যতম কেন্দ্র ছিল আইফেল টাওয়ার

প্যারিস অলিম্পিক

আইফেল টাওয়ার বেয়ে উঠতে গিয়ে আটক

গায়ের ওপরের অংশে কোনো পোশাক নেই। হাতে নেই দড়ি বা গ্লাভস–জাতীয় কিছুও। খালি হাতেই প্রকাণ্ড আইফেল টাওয়ারের শক্ত কাঠামো ধরে ধরে ওপরের দিকে উঠে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ‘বেরসিক’ পুলিশ তাঁকে আইফেল টাওয়ার বেয়ে ওঠার সুযোগ দেয়নি। নামিয়ে এনে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হেফাজতে।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা প্যারিস অলিম্পিকের বিভিন্ন ইভেন্ট ও আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল আইফেল টাওয়ার। তবে এত দিন ধরে কিছু না ঘটলেও শেষ দিনেই নিরাপত্তাকর্মীদের ‘ঝামেলা’য় ফেলেছেন নাম প্রকাশ না হওয়া ওই ক্লাইম্বার। গতকাল প্যারিস অলিম্পিকের সমাপনী অনুষ্ঠান ছিল স্তাদে দ্য ফ্রান্সে।

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, প্যারিসের স্থানীয় সময় গতকাল রোববার বেলা পৌনে তিনটার দিকে এক ব্যক্তিকে আইফেল টাওয়ারের ওপরের দিকে উঠতে দেখা যায়। টাওয়ারের যে অংশে অলিম্পিকের রিং লাগানো হয়েছে, সেটি ছাড়িয়ে ওপরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এরপর পুলিশ আইফেল টাওয়ারে থাকা পর্যটকদের সরিয়ে ওই ব্যক্তিকে নিচে নামিয়ে আনে। ‘অন্যদের জীবন বিপদাপন্ন করার দায়ে’ তাঁকে আটক করার কথা নিশ্চিত করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তদন্ত চলমান বলে নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।

খালি হাতেই বেশ খানিকটা ওপরে উঠে যান এক ব্যক্তি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ এক ব্যক্তিকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফরাসি গণমাধ্যমগুলো ওই ব্যক্তি ব্রিটেনের নাগরিক বলে জানিয়েছে। তিনি একজন পেশাদার ক্লাইম্বার বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্যারিস অলিম্পিকের সমাপনী দিনে প্যারিসে ৩০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল ডারমানিন জানান, সমাপনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু স্তাদ দ্য ফ্রান্সের আশপাশে মোতায়েন করা হয় ৩ হাজারের মতো পুলিশ, আর অন্যান্য স্থানে ২০ হাজার।