টাকার অঙ্কটা মোটেও কম না। বরং অনেক বেশিই বলা যায়। অলিম্পিকে আটবারের চ্যাম্পিয়ন উসাইন বোল্ট ১ কোটি ২৭ লাখ ডলারের হদিস পাচ্ছেন না! বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জ্যামাইকার একটি বিনিয়োগ ফার্মে টাকাটা রেখেছিলেন বোল্ট। ১ কোটি ২৭ লাখ ডলারের কিছু বেশি। এই পরিমাণ টাকার হদিস পাচ্ছেন না স্প্রিন্ট কিংবদন্তি। বোল্টের আইনজীবী জানিয়েছেন, টাকাটা উদ্ধার করতে প্রয়োজনে আইনের সাহায্য নিতেও পিছু হটবেন না বোল্ট। আদালতে মামলা করতে পারেন সর্বকালের সেরা এই স্প্রিন্টার।
রয়টার্সকে বোল্টের আইনজীবী লিন্টন গর্ডন জানিয়েছেন, কিংস্টনের স্টকস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড (এসএসএল) থেকে গত সপ্তাহে বোল্টকে জানানো হয়, তাঁর অ্যাকাউন্টের টাকা হঠাৎ করেই কমে ১২ হাজার ডলারে নেমে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটি এ ঘটনার যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
গর্ডন জানিয়েছেন, এসএসএল টাকাটা দিতে না পারলে ‘আদালতে যাবেন’। গর্ডন বলেছেন, ‘এটা গভীর হতাশার ব্যাপার। আমরা আশা করছি, বিষয়টি সুরাহা করা হবে এবং বোল্ট টাকাটা ফেরত পেয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন।’
এসএসএল গত ১২ জানুয়ারি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, অফিসের সাবেক এক কর্মী জালিয়াতি করেছেন। অফিস এ বিষয়ে জানার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে অভিযোগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এরপর নিজেদের তহবিল রক্ষায় সাবধানতা বাড়িয়েছে। তবে এসএসএলের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করে কোনো মন্তব্য পায়নি। জ্যামাইকান পুলিশ গত সোমবার জানিয়েছে, জালিয়াতি ও আর্থিক তদন্তকারী বাহিনী ‘উসাইন বোল্ট এবং অন্যদের অ্যাকাউন্ট নিয়ে এসএসএলে জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।’
২০১৭ সালে অবসর নেন বোল্ট। এসএসএলে অ্যাকাউন্ট করে টাকাটা রেখেছিলেন নিজের ও মা–বাবার ভবিষ্যৎ সঞ্চয় হিসেবে।