অলিম্পিকের আগে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত
অলিম্পিকের আগে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত

‘রেল নেটওয়ার্কে হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে’

অলিম্পিক শুরু হতে আর কয়েক ঘণ্টার অল্প সময়ই বাকি, কিন্তু এর মধ্যেই বড় বিপর্যয় গ্রাস করেছে প্যারিস শহরকে। দুষ্কৃতকারীদের হামলায় বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্যারিসের দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্ক। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে এই হামলায় ভয় না পাওয়ার আহ্বান সবার প্রতি জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গাব্রিয়েল আত্তাল। একই সঙ্গে তিনি দ্রুতই হামলাকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করার কথাও বলেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আত্তাল এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই অপরাধীদের খুঁজে বের করা এবং শাস্তি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে।’

দুষ্কৃতকারীদের হামলার পর রেল নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে

বার্তা সংস্থা এএফপি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, ‘এটি দুষ্কৃতকারীদের কাজ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উচ্চগতির ট্রেন ও রেল ট্র্যাকের। ফ্রান্সের রাষ্ট্রায়ত্ত রেল নেটওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ এসএনসিএফের কর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতেই প্যারিসের সঙ্গে ফ্রান্সের অন্যান্য শহরের যোগাযোগের রেল লাইনগুলোয় হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা। বিভিন্ন স্থানে রেললাইন উপড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। এতে করে পুরো ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্ক লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বলেই জানিয়েছেন এসএনসিএফের কর্তারা। এ ঘটনায় ফ্রান্সের আট লাখ রেলযাত্রী ভোগান্তিতে পড়েছেন।’

ফ্রান্সের পরিবহনমন্ত্রী পাত্রিস ভারগিরাত বলেছেন, পুরো নেটওয়ার্ক আবার স্বাভাবিক করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার ধরন ও আলামত দেখে তাঁর মনে হয়েছে, এটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। অলিম্পিক আয়োজনকে বাধাগ্রস্ত করতেই এটি করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

ফ্রান্সের ট্রেন যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তি

এবারের অলিম্পিক আয়োজনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে ফ্রান্স সরকার। রাজধানী প্যারিসের নিরাপত্তাব্যবস্থা রীতিমতো নজিরবিহীন। প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। ১০ হাজার সেনা সদস্যও মোতায়েন আছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাও অলিম্পিকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।

এখনো পর্যন্ত রেল নেটওয়ার্কে এই হামলার দায় কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি কাস্তেরা বলেছেন, ‘এই হামলার খবর আমাকে রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে। পুরো ব্যাপারটিই ধ্বংসাত্মক।