শেষ রিংয়ে নেমেছিলেন সেই ২০০৫ সালে। এরপর একে একে কেটে গেছে ১৫ বছর। দেড় দশক পর আবারও মাইক টাইসনের সাধ হয়েছে বিশ্বকে দেখানোর, কেন তাঁকে ‘ব্যাডেস্ট ম্যান অন দ্য প্ল্যানেট’ বলা হয়
বেশ কয়েক দিন ধরেই মনে হচ্ছিল কিছু একটা হতে চলেছে।
নিয়মিত অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিলেন। শরীর আবারও সেই আগের রূপে ফিরে এসেছিল। টাইসনের অনুশীলনের সেসব ছবি বা ভিডিও ক্লিপগুলো পাওয়া যাচ্ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভক্তদের মনে তাই প্রশ্নের উঁকিঝুঁকি শুরু হয়েছিল, টাইসন কি তবে ফিরছেন রিংয়ে? এই বয়সে?
ভক্তদের সন্দেহ সত্যি প্রমাণ করে গতকাল মাইক টাইসন ঘোষণা করেছেন, আবারও বক্সিং রিংয়ে ফিরছেন। ৫৪ বছর বয়সী এই তারকার প্রতিপক্ষ হতে চলেছেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা আরেক বক্সার রয় জোন্স জুনিয়র। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর কারসন, ক্যালিফোর্নিয়ার ডিগনিটি হেলথ স্পোর্টস পার্কে মুখোমুখি হবেন এই দুজন। অনুশীলনের ভিডিও পোস্ট করে টাইসন লিখেছেন, ‘আই অ্যাম ব্যাক (আমি ফিরে এসেছি আবার)।’
বিশ্বের অন্যতম সেরা বক্সার মানা হয় টাইসনকে। ৫৬ ম্যাচের মধ্যে জিতেছেন ৫০টিতে, যার ৪৪ বারই নকআউটের মাধ্যমে। পেশাদার বক্সার হিসেবে প্রথম বছরে ১৫ ম্যাচের ১৫টিতেই জিতেছিলেন। ১৯৯৭ সালে ইভান্ডার হলিফিল্ডের কানে কামড় দিয়ে হয়েছিলেন তুমুল সমালোচিত। ‘ব্যাডেস্ট ম্যান অন দ্য প্ল্যানেট (বিশ্বের সবচেয়ে বাজে মানুষ)’ তো এমনি এমনিই বলা হতো না! মাত্র ২০ বছর ৪ মাস বয়সে সর্বকনিষ্ঠ বক্সার হিসেবে ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। ২০০৫ সালে সর্বশেষ ম্যাচে কেভিন ম্যাকব্রাইডের বিপক্ষে হেরেছিলেন তিনি। এরপর আর রিংয়ে দেখা যায়নি প্রথম বক্সার হিসেবে একই সঙ্গে ওয়ার্ল্ড বক্সিং কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ড বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং ফেডারেশনের চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই বক্সারকে।
ওদিকে ৫১ বছর বয়সী রয় জোন্স জুনিয়রের বক্সিং রেকর্ড ৬৬-৯। ২০১৮ সালে স্কট সিগমনের বিপক্ষে শেষ খেলতে নামা এই তারকা চারটি ভিন্ন ভিন্ন ওজন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।
তবে শুধু বক্সিংই নয়, টাইসন যে রেসলিং খেলতেও আগ্রহী, সেটা বোঝা গিয়েছিল কিছুদিন আগে। বর্তমানে বিশ্বখ্যাত রেসলিং কোম্পানির ডব্লুডব্লুই-এর অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এইডব্লু (অল এলিট রেসলিং)–এর এক এপিসোডে কিছুদিন আগে টাইসনকে দেখা গিয়েছিল কিংবদন্তি রেসলার ক্রিস জেরিকোর বিপক্ষে লড়াই করতে।