কালই এসএ গেমসের কারাতের মেয়েদের কুমিতে অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে জিতেছেন সোনার পদক। আজও মারজান আক্তার খেলছিলেন মেয়েদের কুমির দলগত ইভেন্টে। কিন্তু হঠাৎ করেই আহত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে মারজানকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মারজান। একই সময় আহত হন আরেক কারাতে খেলোয়াড় মাউনজেরা বর্ণা। তবে বর্ণার আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় বাউটের খেলা চলার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। খেলার একপর্যায়ে হঠাৎ করে মারজানের ঘাড়ের পেছনে জোরে ঘুষি মারেন শ্রীলঙ্কার কারাতেকা। ঘুষি খেয়ে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান ম্যাটের ওপর। এরপর ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর উঠতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে গেমসের মেডিকেল দল ছুটে আসে। তারা তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন মারজানকে।
>কাল কারাতে ইভেন্টে সোনা জিতেছেন মারজান আক্তার। আজ দলগত ইভেন্টে খেলতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনি
কাঠমান্ডুর ব্লু ক্রস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসা হয় মারজানকে। চিকিসৎকেরা প্রথমে ইসিজি করেন মারজানের। এরপর সিটি স্ক্যান করতে পাঠান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রজ্জল শ্রেষ্ঠ জানান, ‘ এই খেলোয়াড় ঘাড়ের পেছনে আঘাত পেয়ে এখানে এসেছে। আপাতত আমরা ওকে ব্যথানাশক ওষুধ দিয়েছি। সিটি স্ক্যান করতে দিয়েছি। মনে হয় ব্রেনে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের নিওরো সার্জন এসে তাকে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন। ওই পরামর্শে তার চিকিৎসা চলবে।’
সতীর্থ কারাতে খেলোয়াড় আবিদা সুলতানা বলছিলেন, ‘তখন দ্বিতীয় বাউটের খেলা ছিল। শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় অনেক জোরে মেরেছে মারজানকে। এটা অবশ্য খেলারই অংশ। এ জন্য রেফারি ফাউলও দেন। ও বারবার বলছিল, আমি খেলতে চাই। আমাকে খেলতে দাও। কিন্তু এই অবস্থায় কোনোভাবেই ওকে খেলতে দেবে না চিকিৎসকেরা। ওর ঘাড়ের পেছনে এখনো ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসা চলছে। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে মারজান।’