টোকিও অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু বিশ্বব্যাপী কোভিড–১৯ মহামারি ছড়িয়ে পড়ার কারণে আয়োজন স্থগিত করতে বাধ্য হয় আয়োজকেরা। ২০২০ অলিম্পিক এখন আয়োজিত হবে এ বছর। তবে করোনা মহামারি এখনো দূর হয়নি। তাই অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে সংশয় দূর হয়নি।
করোনা প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয়ে, তা ধীরে হলেও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে। দেশে দেশে চলছে টিকাকরণ। তবে অলিম্পিকের আগে দুনিয়ার সবাই যে সে টিকা পাবেন না, সেটি বোঝাই যাচ্ছে। সে কারণেই ভিন্ন দেশ থেকে দর্শকদের অলিম্পিক উপলক্ষে জাপানে প্রবেশে থাকছে নিষেধাজ্ঞা। জাপানিদের মধ্য থেকেও কেবল সীমিতসংখ্যককেই বিভিন্ন ভেন্যুতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জাপান অলিম্পিক আয়োজনে মরিয়া। সে কারণেই হয়তো গতকাল শুরু করে দেওয়া হয়েছে অলিম্পিক মশালের রিলে। গতকাল শুরু হওয়া এই রিলেতে অলিম্পিকের উদ্বোধনের দিন পর্যন্ত অংশ নেবেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
তাঁদের মধ্যে ক্রীড়াবিদেরা তো থাকবেনই, থাকবেন বিনোদনজগতের তারকা, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন তারকারা। আগামী ২৩ জুলাই অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা। রিলে চলবে ১২১ দিন।
রিলেটি শুরু হয়েছে ফুকুশিমা জেলার ইওয়াকি শহরের অদূরে অবস্থিত জাপানের জে-লিগ ফুটবলের প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জে-ভিলেজে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১২ মার্চ গ্রিসের অলিম্পিয়া পর্বতের কাছে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অলিম্পিকের অগ্নিশিখা জ্বালানো হয়েছিল। এটি মূলত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ২৪ মার্চ। কিন্তু তত দিনে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও অলিম্পিক কমিটির প্রধান টমাস বাখ বৈঠক করে অলিম্পিকও পিছিয়ে দেন এক বছর। রিলে শুরু করেন জাপানের নারী ফুটবল দলের সদস্যরা।
করোনার এই সময় অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে জাপানের জনগণের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। তার ওপর জাপানে এখনো টিকাকরণ শুরু হয়নি। পৃথিবীব্যাপী করোনার নতুন ধরন নিয়েও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মাত্র ২৩.২ শতাংশ মানুষ মনে করেন জাপানে অলিম্পিক হতে পারে। জরিপটি চালিয়েছে বার্তা সংস্থা কিওদো নিউজ।