এক ফ্রেমে বাংলাদেশের দুই আর্চার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী।
এক ফ্রেমে বাংলাদেশের দুই আর্চার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী।

রোমান সানার পর অলিম্পিকে যাচ্ছেন দিয়াও

প্যারিসে আজ ছিল অলিম্পিক বাছাইয়ের শেষ দিনের খেলা। রিকার্ভে মেয়েদের এককে সেরা তিনের মধ্যে থাকলেই সরাসরি টোকিও অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেতেন বাংলাদেশের তিরন্দাজেরা। কিন্তু বাছাইপর্বে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সাফল্য পেয়েছেন দিয়া সিদ্দিকী, লড়াই করেও টাইব্রেকে তৃতীয় রাউন্ডে ৬-৫ সেট পয়েন্টে হেরে যান স্লোভেনিয়ার আনা উমেরের কাছে। তবে এই হারের পরও অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে দিয়ার।

দিয়া সিদ্দিকী।

বাছাইপর্ব শেষে বিশ্ব আর্চারি ফেডারেশন বাংলাদেশকে দিয়েছে সুখবর। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ট্রাইপারটাইট কমিশনের ‘ইনভাইটেশন প্লেসে’র সুবাদে দিয়া খেলবেন টোকিও অলিম্পিকে।

বাংলাদেশ দল ঢাকা ছাড়ার সময়ই অবশ্য এমন একটা আভাস দিয়েছিলেন রাজীব উদ্দিন। ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা আগে চেষ্টা করব সরাসরি খেলার যোগ্যতা পেতে। তবে সরাসরি অলিম্পিকে খেলার সুযোগ না পেলেও আমাদের অলিম্পিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেই রহস্যটা পরে বলব।’

এর আগে বাংলাদেশ থেকে ছেলেদের রিকার্ভের এককে সরাসরি অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পান রোমান সানা। ২০১৯ সালে নেদারল্যান্ডসে বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠে টোকিও অলিম্পিক নিশ্চিত করেন তিনি। ওই টুর্নামেন্টে রোমান জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ।

দিয়ার অলিম্পিকে খেলার সুখবরটা নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন, ‘রোমান সানার পর টোকিও অলিম্পিকে দিয়াও সুযোগ পেয়েছে। ওকে ইনভাইটেশন প্লেসের মাধ্যমে সুযোগ দিয়েছে বিশ্ব আর্চারি ফেডারেশন।’

বিশ্বকাপ আর্চারির মঞ্চে দিয়া ও রোমান।

রহস্য আর কিছুই নয়, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর তিরন্দাজদের অলিম্পিকে বিশেষ ব্যবস্থায় খেলার (ইনভাইটেশন প্লেস) সুযোগ দেওয়ার আগে তাদের আন্তর্জাতিক পারফরম্যান্সও বিবেচনায় নিয়েছে বিশ্ব আর্চারি ফেডারেশন। সেই হিসেবে দিয়া সিদ্দিকী বেশ এগিয়েই ছিলেন। গত মাসে সুইজারল্যান্ডে বিশ্বকাপ আর্চারির স্টেজ টুয়ে রোমানের সঙ্গে জুটি গড়ে দিয়া রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টের ফাইনালে জেতেন রুপা। আজও দুর্দান্ত লড়াই করেছেন অলিম্পিক বাছাইয়ে। সব মিলিয়েই এই প্রাপ্তি বাংলাদেশ ও দিয়ার।

এর আগে ওয়াইল্ড কার্ড পেয়ে অলিম্পিকে যাওয়া নিশ্চিত করেছেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম, জুনায়না আহমেদ, অ্যাথলেট জহির রায়হান। আর ট্রাইপারটাইট কমিশনের বিশেষ সুযোগে শুটিং থেকে অলিম্পিকে যাচ্ছেন আবদুল্লাহ হেল বাকি। ভারোত্তোলনে এসএ গেমসে সোনাজয়ী মাবিয়া আক্তারেরও ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল।