২০২০ টোকিও অলিম্পিকের ডামাডোল থেমে যাওয়ার পর এখন সীমিত মাত্রায় শুরু হতে যাচ্ছে প্রতিবন্ধীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্যারালিম্পিক। মূল আয়োজনের মতো প্যারালিম্পিকও খেলার মূল ভেন্যুগুলোতে দর্শক উপস্থিতি ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে।
জাপানজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তৃত হতে থাকায় এই ব্যবস্থা আয়োজকেরা নিচ্ছেন। ফলে অলিম্পিকের মতো এখানেও বিক্রি হয়ে যাওয়া টিকিটের অর্থ ক্রেতাদের ফেরত দিতে হওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে অলিম্পিক আয়োজন থেকে হওয়া লোকসানের হিসাব।
টোকিও অলিম্পিকের জন্য আয়োজক কমিটি এবং টোকিও মেট্রোপলিটন সরকার মিলিতভাবে যে এক লাখের বেশি স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়োগ করেছিল, এদের একটি অংশ প্যারালিম্পিকেও দায়িত্ব পালন করবে। প্রাথমিকভাবে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আয়োজক কমিটি ৮০ হাজার এবং মেট্রোপলিটন সরকার ৩০ হাজার প্রার্থীকে বেছে নিয়েছিল।
এই কাজের জন্য জমা পড়া আবেদনের সংখ্যা ছিল ২ লাখের কিছু বেশি। আয়োজক কমিটির বাছাই করে নেওয়া ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে করোনাভাইরাস বিস্তার অব্যাহত থাকার কারণে প্রায় ১০ হাজার বাছাই প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলে শেষ পর্যন্ত সেই বিভাগে স্বেচ্ছাসেবীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল আনুমানিক ৭০ হাজার।
অন্যদিকে টোকিওর স্থানীয় সরকারের ৩০ হাজারের কোটা অপরিবর্তিত থাকে। ৭০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে যে মূল দল, এদের দায়িত্ব প্রধানত ছিল বিভিন্ন ভেন্যু ছাড়াও অলিম্পিক ভিলেজ এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া সেন্টারে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা। অন্যদিকে টোকিও সরকারের স্বেচ্ছাসেবীরা বিমানবন্দর ও নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে নিয়োজিত ছিলেন। মূল দলের বড় এক অংশ এখন দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফিরে গেছে নিজেদের আগের জীবনে। এদের বড় এক অংশ ছিল জাপানের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, যে দলে বিদেশিদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য।
বলার অপেক্ষা রাখে না, জাপানে অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকের জন্যই এই দায়িত্ব পালন হয়ে উঠেছিল জীবনে বিরল এক অভিজ্ঞতা অর্জনের চমৎকার সুযোগ। অনেকে আবার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমের নজরে এসেছেন, যেমনটা ঘটেছে ত্রিয়ানা স্তোইকোভিচের বেলায়। অলিম্পিক ভিলেজ থেকে প্রতিযোগীদের বিভিন্ন ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়া বাসে সহায়তাকারীর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জ্যামাইকার সোনাজয়ী স্প্রিন্টারের ভুল বাসে আরোহণ থেকে দেখা দেওয়া সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসে এখন তিনি বিশ্বজুড়ে চিহ্নিত হচ্ছেন সত্যিকার এক নিবেদিতপ্রাণ অলিম্পিক কর্মীতে।
এবারের টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সুযোগ হয়েছিল অলিম্পিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার। এঁদের একজন তাজবীর আহমেদ সাজিদ ইতিমধ্যে নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে প্রথম আলোকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অলিম্পিক শেষ হয়ে যাওয়ার পর সে রকম আরও তিনজন স্বেচ্ছাসেবীকে আমরা অনুরোধ করেছি তাঁদের সেই বিরল অভিজ্ঞতার বর্ণনা তুলে ধরে প্রথম আলোর পাঠকদের তা জানাতে।
আমাদের সেই অনুরোধে তারা সাড়া দিয়েছেন এবং এঁদের সেই বক্তব্য নিয়েই তৈরি করা হয়েছে অলিম্পিক-পরবর্তী প্রতিবেদনের এই প্রথম পর্ব। এখানে আমরা কথা বলেছি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দম্পতি শামীমুজ্জামান সুমন এবং আফসানা বেগমের সঙ্গে।
সুমন-আফসানা দম্পতি
২০১৮ সালের কোনো এক সময়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিবন্ধনের আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই শিক্ষার্থী সুমন ও আফসানা। এরপর ছিল তাঁদের অপেক্ষার পালা। টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় অপেক্ষা আরও দীর্ঘতর হয়। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস সংক্রমণ টোকিওতে বিস্তৃত হতে থাকায় অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ শেষ পর্যন্ত কোথায় দাঁড়ায়, তা নিয়ে অনেকের মতো তারাও শঙ্কামুক্ত হতে পারেননি। তবে অপেক্ষার সমাপ্তিতে একসময় ঠিকই তাঁদের জন্য খুলে গিয়েছিল নতুন এক অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জনের দুয়ার।
সুমন ও আফসানার অন্য পরিচয় হচ্ছে, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী এবং দম্পতি হিসেবে স্বেচ্ছাসেবায় অংশ নিতে পারা তাঁদের জন্য তাই ছিল নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি নিদারুণ উপভোগ্য। শামীমুজ্জামান সুমন ও আফসানা বেগম যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে জাপানের চিবা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। দুই লাখের বেশি আবেদন করা স্বেচ্ছাসেবকের মধ্য থেকে পর্যায়ক্রমে বেশ কিছু প্রক্রিয়া ও সাক্ষাৎকারের শেষে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়। সৌভাগ্যক্রমে দুজনেই তাঁরা অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক উভয় প্রতিযোগিতার জন্যই স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচিত হন। পরে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণেও তাঁদের অংশ নিতে হয়েছে।
২৩ জুলাই শুরু হয় অলিম্পিকের মূল পর্ব। এবারের মূল পর্বের অলিম্পিকে পাঁচটি গেম প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্ফিং হচ্ছে সেগুলোর একটি। টোকিওর পার্শ্ববর্তী চিবা জেলার কাযুসা ইচিনোমিয়া শহরের সুরিগাসাকি সৈকতে সার্ফিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুজনেই তাঁরা সেই একই ভেন্যুতে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন এবং এটা ভেবে তাঁরা উল্লসিত যে অলিম্পিকের ইতিহাসে সার্ফিংয়ের যাত্রা শুরুর সাক্ষী তাঁরা হয়ে আছেন।
কোন দায়িত্ব সেখানে তাঁদের পালন করতে হয়েছে, তার বর্ণনা দিয়ে আফসানা বলেছেন, ‘আমাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল সার্ফিং ভেন্যুর প্রেস অপারেশন টিমে। সাংবাদিকদের বৈশ্বিক এই সম্মেলনস্থলে প্রেস অপারেশন টিম লিডার হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং আমার স্বামী ছিলেন সেই দলের সদস্য। সেখানে কাজ করতে পারা আমাদের জন্য ছিল এক চমৎকার অভিজ্ঞতা। প্রেস অপারেশনের অধীনে ভেন্যু মিডিয়া সেন্টার (ভিএমসি), ট্রিবিউন, মিক্সডজোন, বিচ ফটোজোন—এ রকম কয়েকটি স্থান নির্ধারিত ছিল। আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা এসব জায়গায় অবস্থান করে সেখান থেকে সার্ফিং প্রতিযোগিতা কভার করেছেন। সেই দলে রয়টার্স, এএফপি, গেটি, সিনহুয়া, কিয়োদোর মতো সংবাদ সংস্থাসহ বিখ্যাত সব সংবাদপত্রের প্রতিবেদক ও ফটোসাংবাদিকের সমাবেশ হয়েছিল। প্রেস অপারেশনে আমাদের প্রধান দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন স্পটে অবস্থান করে সাংবাদিকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা এবং নির্বিঘ্নে প্রতিযোগিতা কভার করতে সব রকম সহায়তা এদের করা।’
অন্যদিকে এবারের অলিম্পিকের হতাশজনক একটি ব্যতিক্রম প্রসঙ্গে সুমন বলেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, কোভিড-১৯–এর কারণে টোকিও অলিম্পিকে কোনো দর্শনার্থী ছিলেন না। ফলে স্বভাবতই সাংবাদিকেরাই ছিলেন টোকিও অলিম্পিকের চোখ। আর এ কারণে সবাই ছিলেন খুবই তৎপর। এর বাইরে আবার কোভিড-১৯–এর কারণে প্রতিযোগিতার কভারেজ ও প্রতিযোগীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার বেলায় নিয়ম ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভিন্ন। ফলে সাক্ষাৎকার ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও আমাদের ওপর বর্তায়। প্রতিযোগিতা চলাকালীন প্রতিযোগীরা সার্ফিং শেষ করে মিক্সডজোনে এসে তাঁদের সাক্ষাৎকার দিতেন। ইতালিও ফেরিরা, কারিসা মোর, ইগারাশি কানোয়া, সুজুকি আমুরোর মতো বিশ্বখ্যাত সার্ফারদের পাশে থেকে তাঁদের বক্তব্য আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরার মতো অভিজ্ঞতা ছিল নিঃসন্দেহে অকল্পনীয়।’
সুমন আরও জানিয়েছেন, দেশে থাকাকালীন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নিলেও টোকিও অলিম্পিক ছিল তাঁদের দুজনের জন্যই দারুণ এক অভিজ্ঞতা। বৈশ্বিক এই আসরে নিজেদের প্রমাণ করতে পারাটাই ছিল ঢের আনন্দের ও গর্বের।
আফসানা জানালেন যে অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক উভয় প্রতিযোগিতায় প্রেস অপারেশন টিমের লিডার নির্বাচিত হয়ে সেই গর্ব তিনি আরও বেশি করে অনুভব করতে পেরেছেন, ‘ছয়টি দেশের ২০ জন নাগরিক নিয়ে গঠিত প্রেস অপারেশন টিমে লিডার নির্বাচিত হওয়ায় আমার আত্মবিশ্বাস যেন আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। আমি বিশ্বাস করি, বৈশ্বিক পরিসরে নিজেদের প্রমাণ করে দেশকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরা যায়। এই বিবেচনায় প্রিয় বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ববোধ করতে পেরেছি বলে আমার বিশ্বাস। অন্য সব বিষয় দেখভালের পাশাপাশি মিক্সডজোনেই আমাকে থাকতে হয়েছে বেশি। প্রতি রাউন্ড প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগীরা সাক্ষাৎকারের জন্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সেখানে। সব কথাই হয়তো পত্রিকার পাতায় উঠে আসে না। খুব কাছ থেকে বিস্তারিত সাক্ষাৎকার শুনেছি, অনেক সময় তাদের সাক্ষাৎকারের বক্তব্য পুনরায় সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা করেছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি ভীষণ। অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায় মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে, আমাকেও তা অবশ্যই করেছে।’
সুমন বলেছেন, তিনি মনে করেন, টোকিও অলিম্পিকের মতো বৈশ্বিক আয়োজন আসলে অভিজ্ঞতা অর্জনের অনন্য জায়গা, ‘এই মঞ্চ আমাকে প্রথমবার এতগুলো দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে যুগপৎভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। এ রকম বৃহৎ মঞ্চে কাজ করতে হলে নিজের চিরায়ত অভ্যাস ও চিন্তার সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠতে হয়। এটাই আমার কাছে বড় শিক্ষা। এ ছাড়া পেশাগত অভিজ্ঞতা অর্জন তো আছেই। বিশ্বমানের সাংবাদিকদের এমন বৈশ্বিক আসর কভার করার প্রক্রিয়া, তাদের পেশাদারত্ব খুব কাছ থেকে দেখেছি। এ সবকিছুই আমার ভবিষ্যৎ জীবন ও কর্ম ভীষণভাবে প্রভাবিত করবে।’
টোকিও প্যারালিম্পিকেও স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এই যুগল কাজ করবেন। প্যারালিম্পিককে তাঁরা নিজেদের জন্য শিক্ষণীয় বিশেষ কিছু হিসেবে দেখছেন, এ কারণে যে শারীরিক সীমাবদ্ধতার বাধা পেরিয়ে প্রতিযোগীরা এখানে অংশগ্রহণ করেন। আমাদের দেশে শারীরিকভাবে যাঁরা প্রতিবন্ধী, তাঁদেরকে সমাজের বোঝা হিসেবেই এখনো দেখা হয়। ফলে তাঁরা মনে করছেন, এই মানুষগুলোর ইচ্ছাশক্তি জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এঁদের প্রতি সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বাত্মক সমর্থন-সহযোগিতা আদায় করা গেলে একদিন আমাদের এই জনগোষ্ঠীও বিভিন্ন দিক থেকে পেশাদার হয়ে উঠবে, সম্পদে পরিণত হবে।
টোকিও অলিম্পিক তো শেষ। কিন্তু তাঁরা মনে করছেন না, নিজেদের জীবনে অলিম্পিক যাত্রা এখানেই শেষ। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক এঁদের দুজনের স্বপ্নের পরিধি আরও বিস্তৃত করে নিতে সাহায্য করেছে। ফলে এখন থেকেই ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিককে পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে তাঁরা ধরে নিয়েছেন এবং সেই অলিম্পিকেও উপস্থিত থেকে কাজ করতে পারার আশা তাঁরা করছেন।
টোকিও অলিম্পিকে কাজ করতে গিয়ে অলিম্পিকের আসরজুড়ে বাংলাদেশের অনুপস্থিতি তাঁরা অনুভব করতে পেরেছেন। দুজনেই ছিলেন প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে সার্ফিংয়ের ভেন্যুতে, বাংলাদেশের কোনো সার্ফার যেখানে অংশ নেননি। এ প্রসঙ্গে সুমন সবশেষে এ রকম মন্তব্য করেন, ‘আসলে বাংলাদেশে সার্ফিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি এখনো। তবে বাংলাদেশ সমুদ্রতীরবর্তী দেশ। তরুণদের উৎসাহিত করা গেলে একদিন বাংলাদেশও সার্ফিংয়ে ভালো করবে, অলিম্পিকে অংশ নেবে। স্বপ্ন দেখতে অসুবিধা কোথায় যে একদিন বাংলাদেশও সার্ফিংয়ে স্বর্ণ জিতবে। বিজয় মঞ্চে বেজে উঠবে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’র অনবদ্য সুর, উড্ডীন করা হবে লাল-সবুজের পতাকা।’
সুমনের মতো একই স্বপ্ন আমরাও দেখতে পারি। কেননা আমরা জানি, সার্ফিং দেশে জনপ্রিয় হয়ে না উঠলেও চোখে পড়ার মতো সার্ফার আমাদের দেশে আছে, নিতান্ত শখের বশে সমুদ্রের ঢেউয়ের কাছ থেকে আসা ডাকে যাঁরা সারা দিচ্ছেন। অতি সাধারণ ঘরের সেই সব সন্তানকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারলে এদের মধ্য থেকেই ‘ন ডরাই’ ছবির সেই বালিকার মতো কোনো একজন হয়তো প্যারিসে না হলেও আগামীর কোনো অলিম্পিকে সোনা আমাদের জন্য নিয়ে আসতে পারবে।