হকিতেও ভারতের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলে পাকিস্তানের
হকিতেও ভারতের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলে পাকিস্তানের

পিছিয়ে গেল ঢাকায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

আগামী ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় শুরু হচ্ছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি টুর্নামেন্ট। ছয় জাতির এ টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বড় দ্বৈরথ গ্রুপ পর্বেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ম্যাচটি মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৬ ডিসেম্বর।

কিন্তু সেদিন মহান বিজয় দিবস হওয়ায় ওই দিনের সব ম্যাচ পিছিয়ে দিতে এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে এশিয়ান হকি ফেডারেশন। এ জন্য ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি এক দিন পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নেওয়া হয়েছে।

শুধু ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচই নয়, সেদিনের মালয়েশিয়া-জাপান এবং বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচও এক দিন পিছিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নেওয়া হয়েছে।

হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ জানিয়েছেন, ‌‘বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারপ্রধান সেদিন ঢাকায় থাকবেন। যে কারণে ভারত ও পাকিস্তানের মতো দুই দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন হতো। এ জন্যই আমরা ওই দিনের তিনটি ম্যাচই পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। এশিয়ান হকি ফেডারেশন আমাদের আবেদনে সাড়া দেওয়ায় আমরা খুশি।’

একদিন পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ

টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোর তারিখ ও সময় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ।

এমনিতেই খেলার মাঠে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়া মানেই বাড়তি উত্তেজনা। দুই দেশের ক্রিকেট ম্যাচে সব সময়ই এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হকি মাঠেও সেই উত্তাপের আঁচ থাকে। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি ঢাকায় বাংলাদেশি হকিপ্রেমীদের জন্য তেমনই একটা সুযোগ করে দিচ্ছে দুই পরাশক্তির লড়াই উপভোগের।

করোনায় গত বছর স্থগিত হয়ে গিয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হবে ১৪ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ খেলবে ভারতের বিপক্ষে। ১৭ ডিসেম্বর বদলে যাওয়া সূচিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া।

এরপর ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে জাপানের। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটি পাকিস্তানের বিপক্ষে, খেলবে ১৯ ডিসেম্বর।