একটি বিকেল। যে বিকেলটির অপেক্ষায় থাকে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন। ক্রীড়াবিদ, সংগঠক—সবাই। এ এমন একটি বিকেল, যাতে যতটা না অর্জনের আনন্দ মিশে থাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি থাকে মিলনমেলার আবহ। সত্যিই তো প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক মিলনমেলা। আর এই আনন্দ-অপরাহ্ণের সঙ্গে নিজেদের নাম জড়িয়ে বিশাল একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কোম্পানির জনপ্রিয় ব্র্যান্ড রূপচাঁদা।
পনেরো বছরে পা রেখেছে প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার। ২০০৪ সাল থেকে এই আয়োজনে নিজেদের অর্জনের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অনেক তারকা। একসময়ের মাঠ কাঁপানো তারকারাও সম্মানিত হয়েছেন আবেগঘন আবহে। ক্রীড়া পুরস্কারের পনেরো বছরের এই যাত্রায় এর রূপ-বিন্যাস বদলে গেছে। বাংলাদেশ এডিবল অয়েল যখন থেকে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত হয়েছে, তখন থেকে বেড়েছে এর কলেবর। বেড়েছে পুরস্কারের সংখ্যাও। এই পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।
বাংলাদেশ এডিবল অয়েল এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটা মহৎ উদ্দেশ্য থেকেই। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক ইনাম আহমেদ ক্রীড়াবিদদের দেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন, সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনে করেন। তিনি বলেছেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সেই রাষ্ট্রদূতদের সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বড় চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি করা। গড়ে তোলা।
প্রতিষ্ঠানটি কেবল প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের সঙ্গে জড়িত নয়, এটি সম্প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশ, ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতারের মতো উদ্যোগে। রূপচাঁদার মতোই ফরচুন বাংলাদেশ এডিবল অয়েল কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড। ইনাম আহমেদ এই পৃষ্ঠপোষকতাকে তাদের দায়িত্ব হিসেবেই মনে করেন, ‘আমরা দেখেছি কিছু মানুষের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক বছর ধরে এমন আয়োজন হয়ে আসছে। আমরা তাই এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার তাগিদ অনুভব করছি।’
এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত বাংলা চ্যানেলের এই ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটারের সাঁতার বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ইংলিশ চ্যানেলের সাঁতার নিয়েও কিন্তু এখন ততটা আলোচনা হয় না। কিন্তু কে জানে, এই উদ্যোগই হয়তো একদিন তেমনই রূপ নেবে!
রূপচাঁদার প্রশংসা ঝরেছে ক্রীড়া পুরস্কারে আসা দেশের বরেণ্য ক্রীড়াবিদদের কণ্ঠেও। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব সাবেক হকি তারকা ও সংগঠক বশীর আহমেদের মতে, ‘রূপচাঁদা-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের সবচেয়ে বড় ব্যাপার যেটি সেটি হলো এর নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা। পুরস্কার আরও আছে। কিন্তু যেভাবে এই আয়োজনে পুরস্কার প্রাপ্তি নিশ্চিত হয় , সেটি একটা উদাহরণ। রূপচাঁদা এই কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি তাদের নিবেদনই তুলে ধরছে।’
সাবেক তারকা ফুটবলার আশরাফউদ্দিন চুন্নু রূপচাঁদাকে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকদের জন্য উদাহরণই মনে করেন, ‘তারা এমন সব উদ্যোগের সঙ্গে থাকে, যেগুলো সত্যিকার অর্থেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সামনে এগিয়ে নিতে পারে। আমার সঙ্গে আজকেই মহাব্যবস্থাপক মহোদয়ের কথা হয়েছে, আমি তাঁকে বলেছি তাদের উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে।’
দেশের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে রূপচাঁদা হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের প্রচেষ্টা সফল হোক, সার্থক হোক।