শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে অলিম্পিকে সবার আগে বাজল চীনের জাতীয় সংগীত। আজ সকালে মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল শুটিংয়ে সোনা জিতলেন চীনের শুটার ইয়াং কিয়ান। শুধু সোনা জয়ই নয়, একটা অলিম্পিক রেকর্ডের কীর্তিও গড়েছেন কিয়ান।
মাত্র ২১ বছর বয়সী ইয়াং কিয়ান পেয়েছেন ২৫১.৮ পয়েন্ট। অলিম্পিকের ফাইনালে এটা সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড। রুপাজয়ী রাশান আনাস্তাসিয়া গালাশিনার করেছেন ২৫১.১ স্কোর। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে শেষ শটে ৯.৮ স্কোর করেন কিয়ান। আর গালাশিনা স্কোর করেন ৮.৯।
বাছাইয়ে কিয়ান হয়েছিলেন চতুর্থ। আর গালাশিনা হয়েছিলেন অষ্টম। দুজনই পদকের মঞ্চ থেকে বিজয়ীর হাসি হাসলেন। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন সুইজারল্যান্ডের নিনা ক্রিস্টেন। তিনি পেয়েছেন ২৩০.৬ পয়েন্ট।
শুটিং রেঞ্জে যতই স্নায়ুচাপে ভোগেন না কেন, সোনা জেতার পর কিয়ান বলছিলেন, ‘ভেতরে-ভেতরে আমাকে যতই শান্ত মনে হয়, আসলে আমি ততটা নই। প্রতিযোগিতাজুড়েই আমি নিজেকে মানসিকভাবে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করেছি। নিজের স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছি।’
গালাশিনা ও কিয়ানের লড়াইটা বেশ উপভোগ্যই ছিল। শেষ পর্যন্ত যদিও সোনা জিততে পারেননি গালাশিনা। শেষ শট পর্যন্ত মনোযোগ ধরে রেখেছিলেন তিনি, ‘আমি অন্য সব শটের মতোই শেষ শটও মনোযোগের সঙ্গেই নিয়েছি। আমি কী করতে যাচ্ছি, সেটা নিয়েই ভাবছিলাম। কিন্তু সম্ভবত আমি স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি।’
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সভাপতি টমাস বাখ ইয়াং কিয়ানের সোনার পদক পাত্রে তুলে দেন।
করোনাভাইরাস বিধিনিষেধের কারণে এবারের অলিম্পিকে কোনো বিজয়ীকে পদক পরিয়ে দেওয়া হবে না। তাই বিজয়মঞ্চের সামনে টমাস বাখ থাকলেও পাত্রে রাখা সোনার পদকটি কিয়ান নিজেই সেখান থেকে তুলে নেন। গ্যালারিতে কোনো দর্শক না থাকায় কিয়ানকে করতালিতে অভিনন্দন জানাতে পেরেছেন শুধু চীনের কয়েকজন স্টাফ।